‘আগামিদিনে পেট্রল-ডিজেলে দাম আরও বাড়াবে। সেকারণেই নিজের ঘাড় থেকে দোষটা ঝেড়ে ফেলার চেষ্টা করছে’। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (PM Narendra Modi) এবার পাল্টা নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee)। বললেন, ‘অবিলম্বে রান্নার গ্যাসের দাম ৩০০ টাকা কমানো উচিত। পেট্রল-ডিজেলে দামও কমানো উচিত’. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
কমানোর কোনও লক্ষণই নেই। বরং পেট্রল-ডিজেলের দাম বেড়েছে চলেছে লাগাতার। কেন? রাজ্যের কোর্টেই বল বল ঠেলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। গতকাল, বুধবার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন তিনি। সেই বৈঠকে মোদী বলেন, ‘পেট্রল-ডিজেলের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে এক্সাইড ডিউটি কমিয়েছে কেন্দ্র সরকার। রাজ্যগুলিকেও আমরা অনুরোধ করেছিলাম, তারাও যেন কম কমায়। ভারত সরকারের ভাবনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে কয়েকটি রাজ্য কর কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কিন্তু কয়েকটি রাজ্য নাগরিকদের সুবিধা দেওয়ার চেষ্টা করেনি’।
স্রেফ বাংলা নয়, অন্যন্য অবিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিকেও প্রধানমন্ত্রী বার্তা দেন, ‘আমি কারও সমালোচনা করছি না। যে কোনও কারণেই হোক তখন আপনারা করতে পারেননি। যে রাজস্ব এই ৬ মাসে আপনারা তুলেছেন ভ্যাট বাবদ, সেটা আপনাদের রাজ্যেরই কাজে লাগবে। শুধু অনুরোধ করছি, আপনারা ৬ মাস আগে যেটা করতে পারেননি, সেটা এখন করুন। আপনাদের নিজের রাজ্যবাসীর স্বার্থে করুন’।
এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘যখন সারা বিশ্বের জ্বালানির দাম কমেছিল, তখনও দাম কমায়নি। কেন কমায়নি? তার মানে ওদের ফান্ড থাকবে। ইচ্ছামতো খরচ করবে। পার্টির স্বার্থে। নিজেরা ৩ লক্ষ কোটি টাকা রোজগার করেছে মানুষের পকেট থেকে। কীসের জন্য? ১৪ বার দাম বাড়িয়েছে। তুমি দাম বাড়াবে, রাজ্যের সব টাকা কেটে নেব, পাওনা দেবে না। আর সব দোষ হবে রাজ্যের’।
এদিকে ৬ বছরের দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে চলেছেন বিচারপতিদের সম্মেলন। শনিবার এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তাহলে কি ফের মুখোমুখি হতে চলেছেন দু’জনে? সেই সম্ভাবনা খারিজ করে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিন তিনি বলেন, ‘আমার সাক্ষাৎ করার কোনও পরিকল্পনা নেই। ২ তারিখ বা ৩ তারিখ ইদ হবে। এখানে ৩৩ শতাংশ সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ থাকেন। তাঁদের ইদ উৎসবে প্রতিবার রেড রোডে যেতে হয়। মিটিং করে বিকেলে ফিরে আসতে হবে’।