গত আট মাসে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স এসেছে মার্চে। রমজানে পরিবারের চাহিদা মেটাতে প্রবাসীরা বেশি অর্থ পাঠিয়েছেন। চলতি এপ্রিলেও রেমিট্যান্সের গতি বেড়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় বেশি নয়।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, আগের বছরের এপ্রিলে ২০৬ কোটি ৭৬ লাখ ডলার রেমিট্যান্স পাঠিয়েছিলেন প্রবাসীরা। ওই মাসে দিনে গড় রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ৬ কোটি ৮৯ লাখ ডলার। এদিকে চলতি এপ্রিলে প্রতিদিন গড়ে আসছে ৬ কোটি ৬৬ লাখ ডলার করে।
চলমান ধারা অব্যাহত থাকলে এপ্রিল শেষে তা ২০০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা করছেন কেন্দ্রীয় ব্যাংকের কর্মকর্তারা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘ঈদের আগে রেমিট্যান্স প্রবাহ বাড়ে। এবারও প্রবাসীরা বেশি রেমিট্যান্স পাঠিয়েছেন। গত মাস থেকেই এ প্রবাহ বাড়ছে। এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি এপ্রিলে রেমিট্যান্স ২০০ কোটি ডলার ছাড়াবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যানুযায়ী, গত বছরের এপ্রিলে রেমিট্যান্সে প্রবৃদ্ধি হয়েছিল প্রায় ৯০ শতাংশ। তবে এই বছরের এপ্রিলে ১০ শতাংশও হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, মার্চে গড়ে প্রতিদিন এসেছে ৬ কোটি ডলার করে। প্রবাসীরা গত মাসে বাংলাদেশে পাঠিয়েছেন ১৮৫ কোটি ৯৯ লাখ ডলার। যা গত বছরের জুলাইয়ের পর সর্বোচ্চ। জুলাইয়ে এসেছিল ১৮৭ কোটি ডলার।
তথ্য বলছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির তুলনায় মার্চে রেমিট্যান্স প্রবাহ বেড়েছে। ফেব্রুয়ারিতে এসেছিল ১৪৯ কোটি ৬০ লাখ ডলার।
সার্বিকভাবে চলতি ২০২১-২২ অর্থবছরের ৯ মাস (জুলাই-মার্চ) নেতিবাচক প্রবৃদ্ধিতে রয়েছে রেমিট্যান্স। এই ৯ মাসে ১ হাজার ৫৩০ কোটি (১৫.৩০ বিলিয়ন) ডলার পাঠিয়েছেন প্রবাসীরা।
গত ২০২০-২১ অর্থবছরের একই সময়ে তারা পাঠিয়েছিলেন এক হাজার ৮৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার। এই হিসাবে জুলাই-মার্চ সময়ে রেমিট্যান্স কমেছে ১৮ শতাংশ।