Image default
অন্যান্য

স্ত্রীর সঙ্গে দ্বন্দ্ব: সুস্থ আসাদুল্লাহর হাত-মুখ বেঁধে নেওয়া হয় মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে

২০২১ সালের ৭ অক্টোবর ভোরে রাজধানীর রূপনগর এলাকার বাসা থেকে আসাদুল্লাহকে তুলে নিয়ে যান খিলক্ষেতের গাইডেন্স নামের একটি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের লোকজন। এ ঘটনায় ওই বছর নভেম্বরে আদালতে মামলা করেন আসাদুল্লাহ। মামলায় খাদিজা আক্তার, গাইডেন্স মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আশরাফুজ্জামান জলিলসহ চারজনকে আসামি করা হয়। এই মামলার তদন্ত শেষে গত আগস্টে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছে। ঘটনার সময় আসাদুল্লাহ ও খাদিজা আক্তার স্বামী-স্ত্রী থাকলেও ঘটনার পরে তাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ হয়।

পিবিআই জানায়, ঘটনার সময় বৈধ অভিভাবক হিসেবে স্ত্রী খাদিজা আক্তারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গাইডেন্স মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র আসাদুল্লাহকে নিয়ে যায়। তবে আসাদুল্লাহকে বেঁধে নিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কোনো তথ্য উল্লেখ করেনি পিবিআই। যদিও আসাদুল্লাহর দুই হাত ও মুখ বেঁধে, টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য ওই বাড়ির ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। এ ছাড়া ওই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীও আছেন। তবে পিবিআইয়ের প্রতিবেদনে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়নি।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) ইয়াসির আরাফাত প্রথম আলোকে বলেন, সাধারণত মাদক নিরাময় কেন্দ্রের লোকজন জোর করে রোগীকে নিয়ে যান। এখানেও এমনটা ঘটেছে। মামলায় যে ধারায় অভিযোগ করেছেন বাদী, সেসব ধারায় অপরাধ হয়েছে কি না-সেটি আদালত জানতে চেয়েছেন।

অভিযোগে সম্পত্তি হাতিয়ে নেওয়া এবং অপহরণের অভিযোগ আনা হয়। বাদীর উল্লেখ করা এসব অপরাধ প্রমাণিত হয়নি বলে কাউকে আসামি করে প্রতিবেদন দেওয়া হয়নি। কাউকে অভিযুক্ত করা না হলেও যা যা ঘটেছে, তার সব বর্ণনাই তিনি প্রতিবেদনে দিয়েছেন বলে দাবি করেন।

Related posts

ক্ষতিপূরণ পাননি স্বজনরা, হয়নি রানার বিচার

News Desk

স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, বাবা-ভাইকে জখম

News Desk

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনি পেশা নিয়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত

News Desk

Leave a Comment