মার্কেটিং দুনিয়ার কমবেশি সবাই কন্টেন্ট মার্কেটিং শব্দের সাথে পরিচিত। মার্কেটিং তথা ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের প্রধান নিয়াম হলো কন্টেন্ট। আপনার কন্টেন্ট যতো ভাল হবে, আপনি তত দ্রুত কাস্টমারের নিকট পৌছাতে পারবেন এবং নির্দিষ্ট গোল এচিব করতে পারবেন।
একজন ভাল ডিজিটাল মার্কেটিং এক্সপার্ট হতে হলে, অবশ্যই কন্টেন্ট মার্কেটিং সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকতে হবে। Content is King এই কথার মধ্যেই রয়েছে কন্টেন্টের গুরুত্ব। আপনি নিজেকে দিয়েই একটু ভাবুন, একটি দামি মোবাইল কিনতে হলে কিন্তু আপনি কয়েকবার সেই মোবাইল সম্পর্কে গুগল কিংবা ইউটিউবে সার্চ দিয়ে আগে রিভিউ দেখে নেন।
এছাড়া, নতুন কোন ফোনের বিস্তারিত ফিচার কিন্তু আপনি বিভিন্ন ব্লগ বা ভিডিও কিংবা ফেসবুকের পোস্টের মাধ্যমে জেনে, কেনার প্রতি আগ্রহী হন। সাধারণত এটাই কন্টেন্ট মার্কেটিং। যাই হোক নিচে Content Marketing কি ও Content Marketing সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে।
কন্টেন্ট মার্কেটিং কি?
কন্টেন্ট মার্কেটিং (Content Marketing) মূলত কন্টেন্টকে প্রকাশ করার একটি মাধ্যম হিসেবে কাজ করে। কোন প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য সমূহের উপকারিতা, ব্যবহার উপযোগিতা, কোন তথ্যবহুল বিষয়, কিংবা কোন মজাদার অভিজ্ঞতার কথা যে মাধ্যমে তাদের টার্গেট অর্ডিয়েন্সের কাছে শেয়ার করে থাকে তাকে বলা হয় কন্টেন্ট মার্কেটিং।
কন্টেন্ট এর চারটি ধাপ রয়েছে। তা হল:
- লিখিত মাধ্যম।
- অডিও।
- ভিডিও।
- ছবি।
আমরা মূলত কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ের লিখিত মাধ্যম, অডিও, ভিডিও মাধ্যম নিয়ে আলোচনা করব। এছাড়া, আমরা কন্টেন্ট মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করব।
একটা বিষয়, সব সময় মনে রাখা উচিত যে, আপনার কাজ বা আপনার চাকরি যেন আপনার জন্য লাভ-দায়ক হয়। কারণ যদি এমন কোন কন্টেন্ট বানানো হয়, যেখানে কোন অর্ডিয়েন্স কে কন্টেন্ট আকৃষ্ট করলেন না, সেই ধরণের কন্টেন্টের কোন মূল্য তারা দেবে না। তাহলে সেই কন্টেন্ট তৈরি করা পুরোপুরি অনর্থক।
আপনার লক্ষ্য হওয়া উচিত, তাদের সাহায্য করা, তাদের দৈনন্দিন জীবনধারায় পরিবর্তন, আপনাকে একজন লিডার হিসেবে নিজেকে তুলে ধরা। যার কারণে আপনার টার্গেট অর্ডিয়েন্স চোখ বন্ধ করে আপনাকে ভরসা করতে পারবে। যেকোনো ধরনের জীবনধারা পরিবর্তন করার ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করবে কন্টেন্ট মার্কেটিং।
কেন করবেন কন্টেন্ট মার্কেটিং?
বলা বাহুল্য কন্টেন্ট “ব্র্যান্ড কোয়ালিটি” বৃদ্ধি করতে ভূমিকা পালন করে। আপনার প্রতিষ্ঠান যখন ভালো মানের কন্টেন্ট তৈরি করবে, তখন আপনার প্রতিষ্ঠানের ব্র্যান্ড ভ্যালু বাড়তে থাকবে। আপনি যত বেশি আপনার টার্গেট অর্ডিয়েন্সকে সাহায্য করবেন, তত বেশি আপনি মার্কেটিং এ নিজের সুনাম বৃদ্ধি করতে পারবেন।
এই পদ্ধতিটি মার্কেটে একটি ফ্ল্যাওহেল ইফেক্ট হিসেবে সকলের নিকট বেশ পরিচিত। যেমন আপনি মার্কেটিং জনপ্রিয় না হলেও, কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আপনি মার্কেটে প্রভাব বিস্তার করতে পারবেন।
কন্টেন্ট মার্কেটিং মূলত এমন একটি পদ্ধতি যা আপনার ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে টার্গেট অর্ডিয়েন্স বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। আপনার টার্গেট অর্ডিয়েন্স, আপনার ফলোয়ার আপনাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন গুগল, ইউটিউব, বিভিন্ন ওয়েবসাইট গিয়ে আপনার কন্টেন্ট দেখার সুযোগ হবে।
ট্রেডিশনাল মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে নিজের প্রতিষ্ঠানকে, গ্রাহকদের সামনে উপস্থাপন করতে হত। কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় এই পদ্ধতির মাধ্যমে গ্রাহকগণ আপনাকে খুঁজে বের করতে পারবে।
এটি শুধুমাত্র কিছু নির্দিষ্ট কারণে হয়ে থাকে:
- তারা আপনার সমস্যা সম্পর্কে অবহিত হবে।
- তারা আপনার সমস্যা সম্পর্কে জানবে।
- তারা আপনার সমস্যাটি সমাধান করবে।
এই তিনটি মাধ্যম যেকোনো ব্যবসায় সেলসের ক্ষেত্রে, কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে, আপনার প্রতিষ্ঠানকে উন্নতির শীর্ষে নিয়ে যেতে ভূমিকা পালন করবে। State of Inbound এর রিপোর্ট অনুযায়ী ৫৩% মার্কেটার Content Marketing কে সবচেয়ে বেশী গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
কন্টেন্ট স্ট্রাটেজি তৈরি
এতক্ষণে আপনি নিশ্চয়ই বুঝে গেছেন, আপনার ব্যবসার উন্নতির ক্ষেত্রে কন্টেন্ট মার্কেটিং ভালো ভূমিকা পালন করবে। এখন নিজের প্রতিষ্ঠান উন্নতির ক্ষেত্রে আপনাকে একটি কন্টেন্ট মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি তৈরি করতে হবে।
শিক্ষা, বিনোদন, বিভিন্ন আনুষ্ঠানিক বিষয় সম্পর্কে, আপনার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত, পণ্যসমূহ সম্পর্কিত কন্টেন্ট পাবলিশ করা, শেয়ারের করার উদ্দেশ্যে যে ধরণের পরিকল্পনা করা হয়, সেই পরিকল্পনাকে বলা হয় কন্টেন্ট মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি।
একবাক্যে বলা যায়, কন্টেন্ট মার্কেটিং স্ট্র্যাটেজি মূলত গ্রাহকদের সাথে একটি রিলেশনশীল প্রতিষ্ঠা করা এবং তাদের জীবনে বিদ্যমান সমস্যা সমূহ তুলে ধরে তা সমাধান করার উদ্দেশ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ করা।
যদি আপনি নিজের ভ্যালু তৈরি করতে চান, তাদের সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি-পরিপূর্ণ করে একটা লেখা তৈরি করতে চান, আপনার কন্টেন্ট তখন সফল হবে। আপনি যদি তা করতে ব্যর্থ হয়ে থাকুন আপনার কন্টেন্ট যত ভালো কন্টেন্ট দেন না কেন আপনার কন্টেন্ট তখন আর প্রশংসা কুড়বেন।
কন্টেন্ট তৈরির ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মাথায় রাখতে হবে
১. আপনার গ্রাহক সম্পর্কে জানতে হবে
এটি মূলত গ্রাহকদের উদ্দেশ্যে করেই এক সেবা। তাই আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে যে আপনার গ্রাহক কে হবে. তার উপর। তাদের চাহিদা কি? তারা কি ধরনের সমস্যা মোকাবেলা করছে? তারা কি খুঁজছে?
আপনার কাস্টমার আপনার সম্পর্কে ধারণা করার পূর্বে. আপনার নিজেকে তাদের সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে। আপনাকে তাদের ভাষা অনুযায়ী বলতে হবে। আপনার প্রথম চাহিদা হবে, তাদের সম্পর্কে রিসার্চ করতে হবে। একজন কাস্টমারের চাহিদা কেমন হতে পারে? কি করতে পারে? তার উপর অনুসন্ধান করে তার চাহিদা সম্পর্কে জানতে হবে।
২. অনুসন্ধান করতে হবে কি ধরনের তথ্য তারা জানতে আগ্রহী
কাস্টমার আপনার বিজনেস থেকে কি ধরনের চাহিদা আশা করে, তা জানতে হবে। তাদের কি ধরনের চাহিদা থাকবে? আপনার থেকে কোন পণ্য কেনার পূর্বে তাদের কি ধরনের প্রত্যাশা বিদ্যমান তা জানতে হবে।
এটি মূলত আপনার কন্টেন্ট রোডম্যাপ। আপনার প্রথম ধাপ হল কন্টেন্ট। কাস্টমারদের জন্য কন্টেন্ট তৈরি করা এবং সে অনুযায়ী কাজ করা, আপনার বিদ্যমান প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে।
কন্টেন্ট মার্কেটিং
৩. কি বলতে চায় সেই সম্পর্কে জানুন
- আপনাকে সর্বপ্রথম ভাবতে হবে যে তারা কি ধরনের তথ্য অনুসন্ধান করে থাকে? কিভাবে আপনি তাদের সাথে যোগাযোগ করতে চাচ্ছেন?
- আপনি কোন ধরনের ফরম্যাট পছন্দ করেন? ভিডিও মাধ্যম কিংবা লিখিত মাধ্যম?
- আপনি তাদের কি ধরনের তথ্য উপস্থাপন করতে চাচ্ছেন? আপনার কথার স্বর কেমন হয় উচিত?
- আপনি যত বেশি আপনার কাস্টমারকে চিনবেন তাদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করা তত বেশি সহজ হবে।
৪. অর্ডিয়েন্সের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করা
একটি নির্দিষ্ট ব্যাপারে গ্রাহকদের চাহিদার উপর ভিত্তি করে লিখিত কন্টেন্টের মাধ্যমে আপনি গ্রাহকদের সাথে সুন্দর এবং ভালো সম্পর্ক রক্ষা করতে পারবেন। গ্রাহকদের সাথে সম্পর্ক রক্ষার অন্যতম উপায় হল আপনার লিখিত লেখা এবং কন্টেন্ট।
এই বিষয়টি কপি ব্লগারের ব্র্যান ক্লার্ক সবসময় অনুসরণ করে থাকেন।
তিনি মনে করেন জ্ঞান, তার আইডিয়া, তার যাত্রা একটি বিষয়ের সাথে সম্পর্কিত। তা হল: অনলাইন মার্কেটিং এবং কপি রাইটিং।
তাই আপনার লিখিত কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আপনি তাদের মতামত, অভিজ্ঞতা, চাহিদা এবং পছন্দের ক্ষেত্র সম্পর্কে জানতে পারবেন এবং তা কাজে লাগাতে পারবেন।
৫. লিখিত শব্দ
লেখার ক্ষেত্রে শব্দসমূহ কন্টেন্ট মার্কেটিংকে সবচেয়ে জনপ্রিয় করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কার্যকর। বর্তমানে সময়ে লেখার দক্ষতা, যেকোনো দক্ষতার উপরে অবস্থান করে থাকে। এই লেখার দক্ষতায় কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ের প্রাণ হিসেবে প্রচলিত।
নিচে কিছু Content Marketing করার মাধ্যম আলোচনা করা হলো:
ব্লগিং
কন্টেন্ট মার্কেটিংকে ছড়িয়ে দেওয়ার অন্যতম একটি মাধ্যম হল ব্লগিং। ব্লগিং মূলত এমন একটি মাধ্যম, যে মাধ্যমে আপনি সমসাময়িক বিষয়সমূহ খুব সহজে গ্রাহকদের সামনে তুলে ধরতে পারেন। ব্লগিংয়ের মাধ্যমে মানুষ স্বাধীনচেতা হিসেবে, যেকোনো বিষয়ের উপর মন খুলে লিখতে পারে।
এসইও
সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কিংবা এসইও মূলত এমন একটি মাধ্যম যার ফলে, আপনার কন্টেন্ট সার্চ লিস্টে সবার উপরে পৌঁছাতে পারে। সার্চ ইঞ্জিনকে ব্যবহার করে, আপনার প্ৰতিষ্ঠানকে সবার চাহিদার তালিকায় নিতে হলে, আপনাকে সবার আগে সার্চ ইঞ্জিন সম্পর্কে বুঝতে হবে এবং সেই কাজ করার ধরণ সম্পর্কে জানতে হবে।
কপি-রাইটিং
মূলত একটি বড় ব্লগকে ছোট আকারে মূল পয়েন্টগুলো নিয়ে লিখে উপস্থাপন করার কৌশলকে বলা হয় কপি-রাইটিং। বর্তমান সময়ে কপি-রাইটিং খুবই জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে, একটি কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ের উল্লেখযোগ্য ধাপ হল কপি-রাইটিং।
ইমেইল
ইমেইল কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে একটু ব্যাকডেটেড দেখালেও মূলত ইমেইল কন্টেন্ট মার্কেটিং ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য ধাপ। আপনার লিখিত কন্টেন্টকে গ্রাহকদের তথ্যের উপর ভিত্তি করে, ইমেইলের মাধ্যমে পৌঁছে দেওয়ার পন্থাকে বলা হয় ইমেইল মার্কেটিং।
ইমেইলের মাধ্যমে আপনার প্রেরিত কন্টেন্ট গ্রাহকদের কাছে পৌঁছাবে। গ্রাহকগণ মনোযোগের সহিত সেই কন্টেন্ট পড়বে। এতে তাদের আপনার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে আগ্রহ জন্মাবে।
পডকাস্টিং
অডিওর মাধ্যমে গ্রাহকদের নিকট কন্টেন্ট পৌঁছে দেওয়ার মাধ্যমকে বলা হয় কন্টেন্ট মার্কেটিং। মূলত এক লক্ষের অধিক পডকাস্ট গ্রাহকদের জন্য সেবা প্রদান করে থাকে। বর্তমানে ব্যস্ততার বেড়াজালে আটকে পড়া মানুষেরা একটি বড় কোন টপিক কিংবা কন্টেন্ট পড়ার সময় খুঁজে পায় না।
কিন্তু আমরা যদি নিজেদের রচিত কন্টেন্টকে গ্রাহকদের কাছে অডিও আকারে পৌঁছে দেই তাহলে তারা অল্প সময়ে একটি বড় কন্টেন্ট সম্পর্কে ধারণা দেওয়া সম্ভব হবে।এতে তারা কন্টেন্টের মানের উপর আপনার প্রতিষ্ঠানকে যাচাই করে নিবেন। চাইলে পড়তে পারেন, পডকাস্ট কি? পডকাস্ট করে আয় করবেন কীভাবে?
ভিডিও মার্কেটিং
কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে অন্যতম একটি ধাপ হল ভিডিও মার্কেটিং। একটি তথ্যকে গ্রাহকদের সামনে ভিডিও আকারে উপস্থাপন করে, গ্রাহকদের সামনে তুলে ধরার মাধ্যমকে বলা হয় ভিডিও মার্কেটিং।
সময়ের সাথে সাথে গ্রাহকদের নিকট ভিডিও মার্কেটিং বেশ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। মূলত, ইউটিউব ও সোশ্যাল মিডিয়াকে কেন্দ্র করে, এই ধারণা গড়ে উঠেছে। সোশ্যাল মিডিয়ার উপর নির্ভর করে ভিডিও মার্কেটিং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সকলের কাছে।
কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ভূমিকা:
আপনি পছন্দ করুন কিংবা নাই করু,ন কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে সোশ্যাল মিডিয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম।
গবেষণায় দেখা গেছে যে আমেরিকানরা দিনে প্রায় ২ ঘণ্টার বেশি সময় অতিবাহিত করে থাকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। বর্তমানে কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে এই মাধ্যমকে ছোট কিংবা বড় সকল ধরণের প্রতিষ্ঠান ব্যবহার করে আসছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে কেন্দ্র করে কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ের কার্যকর বৃদ্ধির জন্য আমাদের ৩ টি জিনিস মেনে চলতে হবে:
- শেয়ারিং।
- একটি নির্দিষ্ট ধারা বজায় রাখা।
- এনগেজমেন্ট।
শেয়ারিং
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আপনি যখন কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে বেছে নিবেন, তখন তার গ্রাহকদের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে শেয়ার দিতে হবে। এতে আপনার কন্টেন্ট সবার মাঝে মুহূর্তে ছড়িয়ে যাবে।
ধারাবাহিকতা বজায় রাখা
ধরুন আপনি আপনার পেইজ থেকে আজ কন্টেন্ট পাবলিশ করবেন। গ্রাহকগণ তা সাদরে গ্রহণ করলেন। আপনার পরবর্তী কন্টেন্টের জন্য তারা অধীর আগ্রহে বসে আছে। কিন্তু আপনি পরদিন কোন ধরনের কন্টেন্ট পাবলিশ করবেন না, তখন কেমন হবে বলুন তো।
তাহলে কি দর্শকরা আপনার কন্টেন্ট পড়বে বলুন? তাই আপনাকে সবসময় কন্টেন্ট পাবলিশিং কিংবা কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্র একটি ধারা মেনে চলতে হবে।
এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি করা
গ্রাহকদের জন্য সবসময় নিজের ব্যবসার পেইজে এনগেজমেন্ট বৃদ্ধি করে রাখবেন। যাতে গ্রাহকরা প্রতিদিন নতুন নতুন কিছু আপনার পেজ থেকে পেতে পারে, এতে গ্রাহক সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে। মানুষ আপনার পণ্য সম্পর্কে জানবে। সেই সাথে আপনার ব্যবসা সম্পর্কে জানতে পারবে।
ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে সকল প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে কন্টেন্ট মার্কেটিং জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।তাই কন্টেন্ট মার্কেটিং করে ব্যবসাকে প্রতিষ্ঠিত করার ক্ষেত্রে যোগাযোগ করুন কপি ব্লগারের সাথে।আপনার সব অজানা প্রশ্ন উত্তর পেয়ে যাবেন এইখানে।
উপসংহার
এই ছিল আজকে Content Marketing নিয়ে লেখা। আশা করি এই লেখার মাধ্যমে আপনারা Content Marketing সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা পেয়েছেন। আরও কোন বিষয় জানার থাকলে, কমেন্ট করে জানাতে পারেন। আর যারা ডিজিটাল মার্কেটিং শিখতে চান তারা ডিজিটাল মার্কেটিং কিভাবে শিখব? লেখাটি পড়তে পারেন।