Image default
জানা অজানা

টুইটার মার্কেটিং কি? টুইটার মার্কেটিং কীভাবে করবেন ?

টুইটার মার্কেটিং শব্দটির সাথে কমবেশি সবাই পরিচিত। দেশীও কিংবা বিদেশি খবর হোক কিংবা কোন সেলিব্রেটির ব্যাপারে হয়ে থাকুক, অন্য সকল স্যোশাল মিডিয়ার আগে টুইটারের মাধ্যমে সমসাময়িক তথ্যগুলো অনেক দ্রুত পেয়ে থাকি।

বিজনেস সম্পর্কিত প্রতিষ্ঠান hubspot টুইটারে তাদের বাজার দখল করে রয়েছে। তারা বিভিন্ন তথ্য শেয়ারের মাধ্যমে, তাদের ফলোয়ারদের লাইক, কমেন্টের মাধ্যমে সব সময় ব্যস্ত করে রাখে। টুইটার যেকোনো কন্টেন্টকে সবচেয়ে দ্রুত ছড়িয়ে দিতে পারে। এক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে যে, প্রতিমাসে সারা বিশ্বব্যাপী প্রায় ৩২৬ মিলিয়ন টুইটার ব্যবহারকারী, মাসব্যাপী কন্টেন্ট শেয়ার করে তাদের ফলোয়ারদের জন্য।

টুইটারের মাধ্যমে, ১০০ মিলিয়নের অধিক মানুষের সাথে প্রতিদিন কমিউনিকেট করা সম্ভব। কিন্তু আপনি কিভাবে নিশ্চিন্ত হবেন যে, আপনি তাদের চাহিদা-সম্পন্ন কন্টেন্ট দিয়ে, তাদের মনোযোগ আকর্ষণ করতে পারছেন?

তাই এই সকল প্রশ্ন উত্তর দিতে, আজ আমরা টুইটার মার্কেটিং স্ট্যাটেজি নিয়ে আপনার সাথে আলোচনা করব। কিভাবে আপনি আপনার ব্যবসার জন্য টুইটার ব্যবহার করবেন? কোন ধরনের টিপস এবং ট্রিকস আপনার টুইটার মার্কেটিং পলিসিকে উন্নত করবে? এমন সকল প্রশ্নের উত্তর পেয়ে যাবেন আজকের লেখায়।

টুইটার মার্কেটিং কি?

টুইটার মার্কেটিং মূলত একটি পরিকল্পনা যা গ্রাহকদের জন্য কন্টেন্ট তৈরি থেকে শুরু করে, কন্টেন্ট পাবলিশিং, কন্টেন্ট প্রচার করার প্রক্রিয়া। টুইটার মার্কেটিং হয়ে থাকে বায়ারদের জন্য, সেই সাথে তাদের নির্দিষ্ট কাস্টমারের জন্য, তাদের অনুসরণকারী ফলোয়ারদের জন্য। এই মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে নতুন গ্রাহকরা, প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হয়।

  • টার্গেট অর্ডিয়েন্সের উপর রিসার্চ করা।
  • কোয়ালিটি-ফুল এবং ইউনিক কন্টেন্ট তৈরি করা।
  • পোস্টার জন্য কিছু সময় নির্ধারণ করা।
  • আপনার পরিকল্পনা অনুযায়ী ফলাফল যাচাই করা।

আপনি নিশ্চয়ই ভাবতে পারেন যে টুইটারের কি বিশেষত্ব রয়েছে? যা টুইটারকে বাকি সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম থেকে আলাদা করে তুলে? কি জন্য আসলে মানুষ তার সময় এবং কন্টেন্ট পাবলিশ করতে চায় এই প্লাটফর্মের জন্য?

বিভিন্ন কারণে টুইটার একটি জনপ্রিয় মার্কেটিং টুল। 

  • এই প্লাটফর্ম সম্পূর্ণ ফ্রি আপনাকে আপনার ব্যবসা পণ্য প্রচার এবং প্রসারে অনুমোদন দিয়ে থাকে।
  • আপনার পরিচিতি বৃদ্ধি করবে।
  • সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের জন্য উপযোগী করে তুলবে।
  • আপনার কোম্পানির উদ্দেশ্য এবং বিশেষত্ব তুলে ধরতে সাহায্য করবে।
  • আপনার কোম্পানির অনুসারীদের আপনার কোম্পানির সাম্প্রতিক বিষয়সমূহের প্রচারে সাহায্য করবেন।

আমরা এতক্ষণ টুইটার মার্কেটিংয়ের একটা বেসিক ধারণা অর্জনে সক্ষম হয়েছি। এখন তাহলে জেনে নেই, ব্যবসায়ের ক্ষেত্রে কিভাবে টুইটারকে ব্যবহার করা উচিত।

  • আপনার ব্র্যান্ডের প্রোফাইলকে কাস্টমাইজড করা।
  • টুইটার লিস্ট তৈরি করা।
  • একটি টুইটার চ্যাট হোস্ট করা।
  • টুইটারে বিজ্ঞাপন প্রচার করা।
  • ওয়েবসাইট এ ট্র্যারিফ সংগ্রহ করা।
  • টুইটার মোমেন্ট ব্যবহার করা।
  • টুইটারে ভ্যারিফাইড হওয়া।
  • কাস্টমারকে আগ্রহী করে তোলা।

ব্যবসায়ে টুইটার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে, আপনার টার্গেট কাস্টমারকে রিচ করতে কিছু পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। লক্ষ্য, কোম্পানির আকারের উপর নির্ভর করে, আপনাকে নিচের বিষয় সমূহকে অনুসরণ করতেই হবে।

ব্যবসায়ের জন্য টুইটার মার্কেটিংয়ের ব্যবহার

১. কাস্টমাইজড ব্র্যান্ড ও প্রোফাইল

যখন কেউ আপনার টুইটারে আপনার কোম্পানির প্রোফাইল দেখে ,আপনি তাদের বিশ্বাস করতে চেষ্টা করবেন এটা আপনার কোম্পানি। আপনার বোঝানোর ধরণটা হবে টুইটারের আপনার কোম্পানির প্রোফাইল কাস্টমাইজড করা।

লোগো নাম, পরিচিতি অর্জনের মাধ্যমে, আপনি তাদের সামনে নিজের পরিচিতি তুলে ধরতে পারবেন। এখানে কিছু স্থানে আপনি চাইলে আপনার প্রোফাইল কাস্টমাইজড করতে পারবেন।

Handle

আপনার টুইটার নাম হতে হবে আপনার প্রতিষ্ঠানের নাম। যার কারণে আপনার প্রতিষ্ঠানের নাম আপনার ফ্যান ,ফলোয়ার রা খুব সহজে খুঁজে বের করতে হবে। তাই যখনি আপনি একাউন্ট খুলবেন তখন Handle create account করে নিবেন।

Header

আপনার টুইটার প্রোফাইলের ছবি Header e  ক্রিয়েট করে নিবেন। তাই আপনি হেডারেরে জন্য ইউনিক প্রোফাইল ছবি ,লোগো কিংবা কোম্পানি ইমেজ যুক্ত করে নেবেন।

Profile Picture

আপনার কোম্পানির প্রোফাইল পিকচার কোম্পানির প্রতিটি ধাপ, প্রতিটি কর্মকাণ্ড প্রকাশ করে। তাই আপনার কোম্পানির পুরো ধৰণ বুঝিয়ে দেয় এমন একটি প্রোফাইল পিকচার নির্বাচন করা শ্রেয়।

Bio

একটি টুইটার একাউন্ট এর পুরো পরিচয় টি ১৬৬ ক্যারেক্টারের মধ্যে বর্ণনা করে মূলত বায়োর কাজ। আপনার গ্রাহকদেরকে আকর্ষিত করে তুলার জন্য, একটি ভালো বায়ো লিখার বিকল্প নেই।

Website URL

আপনার প্রোফাইল পিকচার এবং আপনার বায়োর উপর যখন মানুষ আকর্ষিত হবে ঠিক তখনি মানুষ আপনার প্রতিষ্ঠান ভিজিট করতে চাইবে। আর বায়ো ভিজিট করতে হলে সঠিক website URL এর বিকল্প নেই।

Birthday

আপনি আপনার url এর পাশাপাশি Birthday যুক্ত করে দিবেন। এতে মানুষ আপনার প্রতিষ্ঠান সম্পর্কে পার্সোনাল লেভেলে জানার সুযোগ হবে।

২. টুইটার লিস্ট তৈরি করা

আপনার প্রতিষ্ঠানের ধরনের উপর টুইটারে আপনি নিজের ক্যাটাগরি নির্বাচন করে নিবেন। আপনার প্রতিষ্ঠান কি ধরনের তার উপর নির্ভর আপনার ক্যাটাগরি বিবেচিত হবে। যাতে কেউ আপনার কোম্পানির ধরন দেখে সার্চ করলে আপনার নাম লিস্টে আসবে।

উদাহরণস্বরূপ হাব-স্পট লিস্ট সমন্বিত লিডারশীপ এক্সপার্ট, টপ মার্কেটিং এক্সপার্ট, টপ বিজনেস পডকাস্ট। যখন আপনি টুইটার লিস্ট খুলবেন আপনি সেই লিস্ট অনুযায়ী শুধু পোস্ট করা টুইটার দেখতে পাবেন।

আপনি যদি নির্দিষ্ট কিছু একাউন্ট অনুসরণ করে থাকেন তাহলে টুইটার লিস্ট খুব কাজে দেয়।

৩. টুইটার চ্যাট হোস্ট করা

আপনাকে শিডিউল করে একটি টুইটার চ্যাট হোস্ট করতে হবে। যে আপনার একাউন্টে আসা ম্যাসেজ সমূহ, গ্রাহকদের সঠিক তথ্য দিয়ে অবহিত করবে টুইটার চ্যাট হোস্ট করার ক্ষেত্রে।

৪. টুইটার প্রমোট করা:

টুইটার প্রোমোটের মাধ্যমে আপনি সার্চ লিস্টে গ্রাহকদের সার্চের তালিকায় উপরে উঠতে পারবেন। স্পেসিফিক ওয়েব পেইজকে, তুলে ধরার জন্য, এটি একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক।

আপনার ওয়েবসাইট ট্যারিফ সংখ্যা বৃদ্ধি করা:

টুইটার আপনার ওয়েবসাইটে সরাসরি ট্যারিফ আসতে সহায়তা করে। তাই আপনি আপনার ওয়েবসাইটটি টুইটার একাউন্টের নামে যুক্ত করে দিবেন। এতে আপনার ওয়েবসাইটে ধীরে ধীরে ট্যারিফ সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।

৫. ব্যবহার করুন টুইটার মোমেন্ট

twitter moment

টুইটারে যখন কোন নিউজ কিংবা টুইটার পাবলিশ হয় তখন তার সাথে টুইটার মোমেন্ট হয়। কোন টুইটের সাথে, টুইটার মোমেন্ট যুক্ত হলে, সেই টুইট অনেক তাড়াতাড়ি ভাইরাল হয়।

আপনি তেমনি নিজের টুইটার মোমেন্ট হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করে, পোস্ট করুন যেকোনো টুইটে।

৬. ভেরিফাই করুন টুইটার মোমেন্ট

আপনার প্রতিষ্ঠানের ধরনের উপর ভিত্তি করে আপনি টুইটার একাউন্ট ভেরিফাইডের জন্য আবেদন করুন। আপনি টুইটার একাউন্ট ফেরিফাইডের যোগ্য কিনা তা মূলত টুইটার কর্তৃপক্ষ আপনাকে জানাবে। কারণ টুইটার কর্তৃপক্ষ নাচ, গান, সরকার, মিডিয়া, জার্নালিজম বিজনেস এই সকলে বিষয়ের উপর নিয়োজিত একাউন্ট ভেরিফাইড করে থেকে। তাই আপনি যদি এদের মধ্যে থাকেন আবেদন করতে পারেন।

টুইটার ফলোয়ার বৃদ্ধির দিকে নজর দিন

এটা বলা বাহুল্য আপনার একাউন্টে যত অধিক ফলোয়ার থাকবে মানুষ আপনার একাউন্টে অত বেশি নতুন ফলোয়ার হিসেবে যুক্ত হতে চাইবে। তাই আপনাকে আপনার ফ-লোয়ারের কথা চিন্তা করে ভালো ভালো কন্টেন্ট তৈরি করে আরও নতুন নতুন ফলোয়ার বৃদ্ধি করার দিকে জোড় দিতে হবে।

চলুন জেনে  নেই কিভাবে আপনি টুইটারে ফলোয়ার বৃদ্ধি করতে পারবেন:

টুইটার মার্কেটিং
টুইটার মার্কেটিং
  • আপনার কন্টেন্ট শেয়ার উপযোগী করে গড়ে তুলতে হবে।
  • ভিন্নধর্মী হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করতে হবে।
  • বিভিন্ন ধরনের এঙ্গেজ কন্টেন্ট দিতে হবে। যেমন:প্রশ্ন উত্তর ,সার্ভার ইত্যাদি)
  • আপনার ওয়েবসাইটের প্রোফাইলে টুইটার লিংক যুক্ত করে দেওয়া।ওয়েবসাইটের পাশাপাশি অন্য সকল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে টুইটার লিংক যুক্ত করে দেয়া।
  • কমেন্টের মাধ্যমে ফ-লোয়ারদের সাথে সবসময় ইন্টাররেক্ট করা।

এখন আমরা টুইটার মার্কেটিং রিভিউ করতে পারি। টুইটার বিজনেসের ক্ষেত্রে আরও কিছু টিপস এবং টিকস সম্পর্কে জেনে নেই। 

  • টুইটার বিজ্ঞাপন এর মাধ্যমে টার্গেট কি-ওয়ার্ড সেট করা।
  • হ্যাশট্যাগ ইমপ্লিমেন্ট করা।
  • কন্টেন্ট শেয়ার করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় সেট করা।
  • টুইটার ক্যাম্পেইন তৈরি করা।
  • একটি স্ট্রং প্রোফাইল বায়ো তৈরি করা।
  • ইমেজ এবং ভিডিও ব্যবহার করা।
  • ফ-লোয়ারদের সাথে ইন্টারেস্ট করা।
  • মিডিয়া ম্যানশন শেয়ার করা।
  • আপনার প্রতিযোগী টুইটার কম্পিটিটিরকে নজরদারির মধ্যে রাখা।
  • কন্টেন্ট তৈরির সময় গ্রাহকদের আগ্রহ এর উপর নির্ভর করে কন্টেন্ট তৈরি করা।
  • ইভেন্ট প্রমোট করা।
  • আপনার ডিরেক্ট ম্যাসেজ চেক করা।
  • আপনার এনালাইসিস এর উপর ট্র্যাক করা।

টুইটার মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে এইসকল টিপস সারা বিশ্বজনীন। যেকোনো কোম্পানি, ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে প্রমোট করার ক্ষেত্রে এই নিয়মগুলো প্রযোজ্য। চলুন জেনে নেই এই সম্পর্কে না বিস্তারিত।

টুইটারে মার্কেটিং:

টুইটারে বিজ্ঞাপন প্রচার

টুইটারের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচার করে আপনি খুব সহজে আপনার অর্ডিয়েন্সের কাছের পৌঁছাতে পারবেন। এর মাধ্যমে আপনি হাজার হাজার গ্রাহকদের সামনে আপনার কোম্পানিকে তুলে ধরতে পারবেন।

টুইটার বিজ্ঞাপনে টার্গেট কিওয়ার্ড সেট করার খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যখন আপনি  টার্গেট কিওয়ার্ড সেট করে রাখবেন। আপনার দেশের মানুষেরা খুব সহজে আপনার প্রতিষ্ঠানকে  খুঁজে পাবে। টার্গেট কিওয়ার্ড সেট করার ফলে আপনি খুব সহজে আপনার টার্গেট কাস্টমারকে রিচ করতে পারবেন।

১. ইমপ্লিমেন্ট হ্যাশট্যাগ

twitter hashtag

আপনি কি জানেন হ্যাশট্যাগ যেকোনো টুইটারে কত রিচ করে? আপনার টেক্সটের সাথে যদি হ্যাশট্যাগ যুক্ত করে দিন, তাহলে খুব সহজে আপনার ইনফ্লুয়েন্স যুক্ত করবে। হ্যাশট্যাফ যুক্ত করলে আপনার বিজনেস রিচ করতে পারবেন।

২. কন্টেন্ট শেয়ারিংয়ের জন্য সময় নিরধারণ

আপনি আপনি প্রতিষ্ঠানের কন্টেন্ট প্রকাশ করার জন্য, একটি নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করতে হবে। কারণ আপনাকে খুঁজে বের করতে হবে, যে ঠিক কোন সময়ে আপনার পোস্টগুলো আপনি পাবলিশ করবেন। ঠিক কোন সময়ে আপনার পোস্টগুলো রিচ করেন। কন্টেন্ট মার্কেটিং কি? কন্টেন্ট মার্কেটিংয়ের বিস্তারিত

তবে আপনি যে দেশে অবস্থান করেন টুইটারে পোস্ট করার জন্য রাতের বেলা সময় নির্ধারণ করে নিবেন। রাতের বেলা পোস্ট রিচ হয় বেশি।

৩. টুইটার ক্যাম্পেইন তৈরি করা

প্রতিটি টুইটারে ক্যাম্পেইন একটি বাড়তি রিচ যুক্ত করে দেয়। তাই আপনি আপনার প্রতিষ্ঠান অনুযায়ী একটি প্রজেক্ট ক্যাম্পেইন যুক্ত করে দিন। তাহলে তা বেশি রিলেভেন্ট হবে।

৪. একটি শক্তিশালী প্রোফাইল বায়ো

আপনার টুইটার একাউন্টে একটি শক্তিশলী বায়ো ক্রিয়েট করতে হবে। একটি শক্তিশালী বায়ো আপনার রিচ বাড়াতে অনেক সাহায্য করবে। আপনার বায়ো যত বেশি আকর্ষণীয় হবে, আপনার ফলোয়াররা আপনার কথা বেশি জানতে পারবেন।

৫. ফলোয়ারদের সাথে ইন্টারেক্ট করা

আপনার ব্যবসা বৃদ্ধি করতে আপনার ফলোয়ারদের সাথে ইন্টারেক্ট করতে হবে। যত বেশি ইনটারেক্ট করবেন পাশাপাশি নতুন নতুন ফলোয়ার বৃদ্ধি পাচ্ছে।

৬. শেয়ার মিডিয়া মেনশন

আজকাল সকলে নানা ধরণের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একাউন্ট রয়েছে। আপনি বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার একাউন্টের লিংক দিয়ে দিবেন। এতে আপনার ফলোয়ারের সংখ্যা বাড়াতে হবে

৭. নজরদারি বাড়ান প্রতিযোগি টুইটার একাউন্টে

ফলোয়ার বাড়াতে আপনার প্রতিযোগী প্রতিষ্ঠাহ্নের টুইটার একাউন্টের দিকে নজর দিতে হবে। প্রতিযোগী টুইটার একাউন্টের ভিন্নতার উপর নির্ভর করে আপনি নিজের একাউন্টে এ পণ্য প্রচারণার ক্ষেত্রে ভিন্নত নিয়ে আসতে হবে।

৮. ফলোয়ারদের চাহিদার উপর ভিত্তি করে ভিন্নধর্মী কন্টেন্ট নির্বাচন

আপনি যখন ফলোয়ারদের কথা চিন্তা করে কন্টেন্ট নির্বাচন করবেন তখন আপনার পোস্টে এ মানুষের ইন্টারেকশন হবে। ফলে নতুন নতুন ফলোয়ারের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে।

৯. আপনার ইভেন্টকে প্রমোট করুন

আপনার কোম্পানির যখন কোনো ইভেন্ট হয়ে থাকে সেই ইভেন্ট প্রচার করুন। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের টুইট সেই লিংকটি যুক্ত করে দিন। তাহলে আপনার ইভেন্ট প্রমোট পাবেন। নতুন নতুন ইভেন্ট প্রমোট করবেন।

১০. প্রতিদিন ম্যাসেজ বিনিময়

ম্যাসেজ দেওয়ার মাধ্যমে রেগুলেরিরিটি মেনটেইন  হয়। প্রতিদিন ম্যাসেজ আদান প্রদান এর মাধ্যমে আপনার গ্রাহকদের আপনার প্রতিষ্ঠানের সম্পর্কে ভালো ধারণা পোষণ হবে।

১১. আপনার এন্যালাইসিসের উপর ট্র্যাক রাখা

আপনি প্রতিদিন যে ধরনের পরিকল্পনা করছেন সেই পরিকল্পনা কতটুকু ফলাফল নিতে আসছে তা আপনি এন্যালাইসিস করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ সফল হলে পরিকল্পনা যেমন ঠিক আছে, তেমনি ব্যর্থ হলে নতুন পরিকল্পনা আপনাকে সাজাতে হবে।

উপসংহার

টুইটার মার্কেটিংয়ের ক্ষেত্রে সঠিক স্ট্রাটেজির বিকল্প নেই। সঠিক স্ট্র্যাটেজি পারে আপনার ব্যবসায় সাফল্য এনে দিতে। তাই নিজের ব্যবসায় উন্নতিতে আজই শুরু করুন টুইটার মার্কেটিং।

Related posts

নেদারল্যান্ডসের গিয়েথুর্ন ভিলেজ – কোনও রাস্তা নেই, গাড়ি নেই, যাতায়াত মাধ্যম নৌকা

News Desk

বিদেশে উচ্চশিক্ষা: স্কলারশিপ কিভাবে পাওয়া যায়?

News Desk

রাধাবিনোদ পাল: যার কারণে জাপানীরা বাঙালিদের ভালোবাসে

News Desk

Leave a Comment