ভালো কবুতর চেনার উপায় জানা থাকলে কবুতর কিনতে গিয়ে ঠকার সম্ভাবনা থাকবে না। সুস্থ কবুতর চেনার উপায় জানা না থাকলে, বাসায় নিয়ে দেখবেন কবুতর অসুস্থ কিংবা কয়েকদিন পর মারা গেছে। যা কিনা খুবই কষ্টদায়ক বিষয়।
আগে গ্রামের মানুষ কবুতর পালন করলেও, এখন শহরের মানুষও তাদের বাড়ির ছাদে কবুতর পালন করে আসছে। তাই, কবুতর পালনের আগে আপনাকে অবশ্যই ভালো কবুতরটি চিহ্নিত করতে হবে। আর সেজন্য আপনাকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে।
পৃথিবীতে কবুতরের পালনের ইতিহাসটা বহু দিন আগের থেকে। মিশরের রাজা বাদশা থেকে শুরু করে ভারতীয় উপমহাদেশের মোঘলরা প্রায় সবাই কবুতরের মাধ্যমে চিঠি আদান-প্রদান করতেন। যুগে যুগে কতো প্রেমের ইতিহাস রচনা হয়েছে এই কবুতরের পায়ে চিঠি লাগিয়ে তার হিসাব নেই।
আধুনিক যুগেও কবুতরের প্রতি কম বেশি সবারই আকর্ষণ রয়েছে। সৌখিন মানুষদের পোষা প্রাণীর পছন্দের তালিকায় সবার উপরেই থাকবে এই কবুতরের নাম। অনেকেই আবার শুধু কবুতর পালন করেই মাসে ৫০ হাজার টাকা উপার্জন করতে সক্ষম হয়েছে।
কবুতরের মাংস অনেক সুস্বাদু এবং অনেকেরই পছন্দের খাবার এটি। তবে, বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যেই হোক অথবা সৌখিনতার উদ্দেশ্যেই হোক, দিন দিন কবুতর পালনকারীর বেড়েই চলছে।
সুস্থ কবুতর চেনার উপায়:
কবুতরের বিভিন্ন জাত রয়েছে। প্রত্যেক জাতের কবুতরের রয়েছে আলাদা বৈশিষ্ট্য। প্রতিটি জাতের বৈশিষ্ট্য নিয়ে যদি আলোচনা করতে যাই তাহলে, মোটামুটি ২০০ পেজের একটি বই হয়ে যাবে। যেহেতু আমি বই লিখতে আসিনি আর আপনারাও বই পড়তে আসেননি।
তাই, আজকে আমরা ভাল কবুতরের কমন কিছু বৈশিষ্ট্য নিয়ে আলোচনা করবো। এসব বৈশিষ্ট্য বা চিহ্ন দেখে খুব সহজে ভাল কবুতর চিনতে পারবেন।
ভালো কবুতর চেনার উপায়ঃ
১. ভালো কবুতরের চোখগুলো উজ্জ্বল হবে।
২. গায়ের পালকগুলো চকচকে এবং সুন্দর থাকবে।
৩. নাক পরিষ্কার থাকবে এবং খেয়াল রাখতে হবে যেন নাকে কোন প্রকার সর্দি লেগে না থাকে।
৪. পালক যেন অপরিষ্কার না থাকে এবং কোন অংশে পালক না থাকলে সে কবুতর কিনা থেকে বিরত থাকুন।
৫. কবুতরের ডানা ঝুলে থাকলে, তা কিনবেন না।
৬. কবুতরের গায়ে কোন রকম আঘাত বা জখমের চিহ্ন আছে কিনা তা, ভালো করে খেয়াল রাখতে হবে।
৭. কবুতরের ঠোঁট দুইটা ঠিক আছে কিনা, তা দেখতে হবে ভালো করে।
৮. কবুতরের পা ঠিক আছে কিনা, আর পায়ের সবগুলো আঙ্গুল পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
৯. পায়ের নখগুলো যেন বেশি ছোট অথবা বেশি বড় না হয়। নখ ভাঙ্গা থাকলে সেই কবুতর কিনা থেকে বিরত থাকুন।
১০. যেসব কবুতরের লেজ অনেক অপরিষ্কার থাকে এবং পায়ু পথে মল লেগে থাকে সেসব কবুতর কিনবেন না। এইগুলা রোগাক্রান্ত কবুতরের লক্ষণ।
১১. যেসব কবুতর হাঁপাতে থাকে, সেসব কবুতর কোনভাবেই কেনা উচিত নাহ।
১২. পাখি সুস্থ সবল থাকলে সেটি খাঁচায় লাফালাফি করবে এবং বের হইতে চাইবে। আর যদি কবুতর খাঁচায় বসে ঝিমাতে থাকে তবে সে রোগাক্রান্ত এইসব কবুতর বেশিদিন বাচে না।
উপরে উল্লেখিত লক্ষণগুলো দেখে খুব সহজেই যেকোনো জাতের কবুতর ভাল কিনা যাচাই করতে পারবেন।
রানিং কবুতর কিভাবে চিনবেন:
রানিং কবুতর মানে হচ্ছে, যে কবুতর ডিম দিচ্ছে তাদেরকে বোঝায়। সাধারণত মাদি বা মহিলা কবুতরগুলো বাচ্চা দিয়ে থাকে। আপনি কয়েকটি লক্ষণ দেখে চিনতে পারবেন, যে কবুতরগুলো বর্তমানে বাচ্চা দিচ্ছে কিনা।
কবুতর বাচ্চা দিচ্ছে কিনা বোঝার উপায়:
ঠোটের কোণায় ময়লা লেগে আছে৷ এর মানে হলও কবুতরগুলোর বাচ্চা আছে এবং সে তার বাচ্চাদের খাবার খাওয়াচ্ছে। অথবা খুব রিসেন্টলি বাচ্চাগুলো বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে৷ তার ঠোটগুলো ফ্রেশ এবং অনেকটাই নরম। অর্থাৎ কবুতরগুলো ডিম দিচ্ছে বুজা যায়।
গলার নিচের দিকটায় ময়লা লেগে থাকে।
যেহেতু প্রতিনিয়ত ডিম দিচ্ছে মাদি কবুতর তাই তার মলদ্বারটি একটু লম্বা আকারের রয়েছে।আর যদি ডিম না দেয় তাহলে মলদ্বারটি গোলাকার আকৃতিতে থাকবে।
এভাবেই বুঝে নিতে হবে কবুতর বাচ্চা দিচ্ছে কিনা।
নর ও মাদি কবুতর চেনার উপায়:
সাধারণত পুরুষ কবুতরগুলোকে নর কবুতর বলা হয় আর মেয়ে কবুতরগুলোকে মাদি কবুতর বলা হয়। এখন আপনি ৩ টি পর্যায়ে এসে এদেরকে সনাক্ত করতে পারবেন।
ডিম
যে ডিমগুলো লম্বাটে এবং বড় হবে সেগুলো ফুটে পুরুষ কবুতর বের হবে। আর যে ডিমগুলো ছোট এবং গোলাকার হয় সেগুলো ফুটে মাদি বা মেয়ে কবুতর বের হবে।
প্রাপ্তবয়স্ক
নর কবুতরকে মাদি কবুতরের সামনে আনলে নর কবুতর ডাকবে আর মাদি কবুতরের চারপাশে ঘুরবে। আর মাদি কবুতর চুপ করে বসে থাকবে। ২.নর কবুতরের গলা এবং ঠোট তুলনামূলক মোটা হয়ে থাকে মাদি কবুতরের থেকে।
নর কবুতরের পায়ের আঙ্গুলগুলো সমান এবং মসৃণ হয় না। মাদি কবুতরের পায়ের আঙ্গুলগুলো সমান এবং মসৃণ হয়ে থাকে।
নর কবুতরের শরীর কিছুটা নোংরা থাকবে কিন্তু মাদি কবুতরের শরীর পরিষ্কার থাকবে।
নর কবুতর মাদি কবুতর থেকে তুলনামূলক বড় হয়ে থাকে।
নর কবুতরের ঠোটকে টান দিলে সে ছুটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু মাদি কবুতরকে টান দিলে তা করে নাহ।
নর কবুতরের গলার রগ বা নালী তুলনামূলক বড় হয়ে থাকে মাদি কবুতরের থেকে।
সূর্য ডোবার সময় নর কবুতর ঘরে ঢোকার জন্য ছটফট করে কিন্তু মাদি কবুতরটা তুলনামূলক শান্ত থাকে।
বয়স গণনা
কবুতরের বয়স গণনা করার জন্যে যেই পদ্ধতিটি অনুসরণ করা হয় তাকে পর গণনা পদ্ধতি বলা হয়। এর জন্যে প্রথমেই আপনাকে যা করতে হবে। প্রথমেই একটা কবুতরের ডানা নিবেন সেখানে উপর থেকে প্রথম ১০ টি পর বা পালক নিবেন। তারপর সেই পালকগুলো থেকে নিচের দিক থেকে গণনা করবেন। যেই পর বা পালকটি নতুন করে গজাচ্ছে সেই কবুতরের বয়স তত পর। কবুতরের পর বা বয়স গণনা এজন্যই জরুরি কারণ ১০ পর না হলে কবুতরকে তার জোড়া বা সঙ্গী দেওয়া যাবে নাহ।
প্রজাতি
অনেক প্রজাতির কবুতর আমাদের দেশে পাওয়া যায়। সেই মোঘলদের আমলদের থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত প্রায় বহু প্রজাতির কবুতর আমাদের দেশে এসেছে। আজ তাদের কিছু আলোচনা করবো:
পাংখা
১ জোড়ার দাম ১৫০০০ টাকা
বাঘা
১ জোড়ার দাম ২৫০০ টাকা
লাল মুসালদম
১ জোড়ার দাম ৩০০০ টাকা
গ্রিজেল
১ জোড়ার দাম ৩০০০ টাকা
গিয়া চুল্লী
১ জোড়ার দাম ১৫০০-৩০০০ টাকা
লক্ষা
১ জোড়ার দাম ১২০০-২৫০০ টাকা
লাল গররা
১ জোড়ার দাম ১০০০-১৬০০ টাকা
ব্ল্যাক শর্ট ফেইস
১ জোড়ার দাম১৬০০- ৩৫০০ টাকা
হলুদ-মক্ষি
১ জোড়ার দাম ২০০০ -৪০০০টাকা
সার্টিন
১ জোড়ার দাম ১৮০০-৪০০০ টাকা
সিলভার সিলজি
১ জোড়ার দাম ১৬০০-৩০০০ টাকা
চুইঠান গররা
প্রতিটির দাম ১২০০ থেকে ২০০০ টাকা
লাহরী কবুতর
১ জোড়ার দাম ১০০০০- ২০০০০ টাকা
সিরাজি কবুতর
১ জোড়ার দাম ৩০০০ -৬০০০টাকা
কিং
১ জোড়ার দাম ৮০০০ -১২০০০টাকা
সার্জিন
১ জোড়ার দাম ৮০০০ -১২০০০টাকা
এছাড়াও আরও বহু প্রজাতির কবুতর দেখা যায় আমাদের দেশে। এখানে কবুতরগুলোর গড় দাম বলা হয়েছে। অঞ্চলভিত্তিক এদের দাম উঠানামা করে। কিছু অঞ্চলে দাম বাড়ে কিছু অঞ্চলে কমে।
যেমনঃ
১. হাইফ্লায়ার কবুতর
এই কবুতরগুলো সাধারণত 1 বছরে 12 জোড়া ডিম দিতে সক্ষম। বাজারে এ কবুতরের মূল্য 1 হাজার টাকা হতে পারে, এবং বাচ্চা কবুতরগুলোর মূল্য 500 টাকা।
এ কবুতর-চেনার-উপায় বা এদের বৈশিষ্ট্য হলোঃ
এদের ঠোঁট অনেকটা ছোট,
এতে শরীরটা অনেকটা ছোট
চোখগুলো ডার্ক নাইট কাল
শরীরটা সম্পূর্ণ সাদা
২. ঝরনা সাটিন কবুতর
এ কবুতর-চেনার-উপায় বা এদের বৈশিষ্ট্য হলোঃ
এই কবুতরের শরীরটি ঝর্ণার মত দেখতে
শরীরের কালারটা সাদাকালো মিলিত
এই কবুতরের লেজ ও সাদা ও কালো মিশ্রিত
মাথার চাইতে ঠোঁটটা অনেকটাই ছোট।
ও চোখগুলো অনেক বড়
মাথায় ঝুটি বাধা থাকে এবং গলার নিচের অংশে কুঁচকানো ফুলা দেখা যায়।
এই কবুতরের দাম হলো 3000 টাকা এবং বাচ্চা কবুতর গুলোর দাম হল 2500 টাকা।
৩. লাল গিরিবাজ
এ কবুতর-চেনার-উপায় বা এদের বৈশিষ্ট্য হলোঃ
এই কবুতরটা সাধারণত গিরিবাজের মতই। কিন্তু ভাল করে লক্ষ করলে দেখা যায়
এদের চোখের ভিতর লাল রিং এবং ভিতরে সাদা পাথরের মত দেখা যায়।
এদের শরীরটা দেখতে ফ্রেশ লাভ এবং ঠোটগুলো ছোট।
এরা সাধারণত অনেক বাজি মারে।
এই কবুতর সাধারণত বছরে আর জোড়া বাচ্চা দিতে সক্ষম।
এদের বাজার মূল্য 1500 টাকা এবং বাচ্চা কবুতরের বাজার মূল্য 1000 টাকা।
৪. লাক্ষা কবুতর
এ কবুতর-চেনার-উপায় বা এদের বৈশিষ্ট্য হলোঃ
সাধারণত এদের হোয়াইট লক্ষা কবুতর বলা হয়।
এদের বৈশিষ্ট্য হচ্ছেঃ
লাক্ষা কবুতরের লেজটি ফুলের মত ছড়িয়ে থাকে।
এবং মাথায় একটি ঝুটি থাকে।
এ কবুতর বছরে 7 থেকে 8 জোড়া ডিম দিতে পারে।
ময়ূরের মতো লেজটা ছড়িয়ে রাখে বলে দেখতে অনেক সুন্দর লাগে।
লক্ষা কবুতর বেশি উড়তে পারে না।
এই কবুতর একজোড়া দাম 1500 টাকা এবং বাচ্চা এক জোড়ার দাম 100 টাকা
৫. সোয়া চন্দন কবুতর
এ কবুতর-চেনার-উপায় বা এদের বৈশিষ্ট্য হলোঃ
এ কবুতরের গায়ের রং অর্ধেক কালো এবং অর্ধেক গিয়ে কালার হয়ে থাকে।
সুয়াচন্দন কবুতর বছরে 7 থেকে 8 জোড়া বাচ্চা দিতে সক্ষম।
এ কবুতরের দাম একজোড়া 1000 থেকে 1500 টাকা এবং বাচ্চা কবুতরের দাম 500 থেকে 1000 টাকা
৬. ইন্ডিয়ান বোম্বাই কবুতর
এ কবুতর-চেনার-উপায় বা এদের বৈশিষ্ট্য হলোঃ
এ কবুতরে দেখা যায় ঠোট অনেক ছোট।
চোখের উপরের পাতা টা অনেক বড় হয়ে থাকে।
এবং সব থেকে ভালো ভাবে চেনা যায় এদের মাথার জুটিটা অনেকটা ছড়ানো।
এই কবুতর গুলা সাইজে অনেক বড় হয়ে থাকে।
ইন্ডিয়ান বোম্বাই কবুতর বছরে 8 জোড়া বাচ্চা দিতে পারে।
এই কবুতরের বাজার দাম 4000 টাকা এবং বাচ্চা এক জোড়া কবুতরের দাম 2500 থেকে 3000 টাকা।
৭. ঘিয়া চন্দন কবুতর
এদের প্রধান বৈশিষ্ট্য হলো এদের গায়ের রং পুরো বাদামি কালার। সাধারণত গিয়া চন্দন কবুতর দুই ধরনের হয়ে থাকে।
গোল মাথা হয় এবং
ঝুটিওয়ালা মাথা হয়।
এই কবুতরের দাম জোরা ১০০০ টাকা
৮. ঢাকায় গিরিবাজ কবুতর
মূলত এই কবুতরকে বাংলাদেশী জাত বলা হয়।
কবুতর চেনার উপায় হলো
গলা থেকে মাথা পর্যন্ত জিরা জিরা কাল কালার বা পোড়া পোড়া কালার দেখা যায়।
এবং বাকি শরীরটা সাদা কালার হয়ে থাকে।
বছরে 10 জোড়া কবুতরের বাচ্চা দিতে সক্ষম।
এক জোড়া ঢাকাইয়া গিরিবাজ দাম 800 টাকা
৯. লোটন কবুতর
এতে চেনার উপায় হচ্ছেঃ
মুখের উপর ফু দিয়ে নিচে ঘুরালে অনেকক্ষণ ঘুরতে পারে।
এরা আকাশে অনেক ভালো দিগবাজি দিতে পারে।
মাথার উপর জুটি থাকে।
এই কবুতরের বাজার মূল্য 1500 টাকা এবং এক জোড়া বাচ্চার মূল্য 1000 টাকা।
১০. মুক্ষি কবুতর
এতে চেনার উপায় হচ্ছেঃ
এদের পুরো শরীল কালো
এবং মাথায় হালকা সাদা থাকে।
মুক্ষি কবুতর সাধারণত ঘারটা খুব নাড়ায়।
এবং গলার গিলাটা উপরের দিকে উঠে থাকে।
এই কবুতরের এক জোড়া দাম পনেরশো টাকা এক জোড়া বাচ্চার দাম 1,000 টাকা
১১. ডাবুক কবুতর
এতে চেনার উপায় হচ্ছে
এরা সাধারণত মুক্ষি কবুতরের মতোই দেখতে।
কিন্তু মুক্ষি কবুতর মত দেখতে হলেও এরা মুক্ষি কবুতরের মতো ঘাড় কাঁপে না।
এ কবুতরের বাজার মূল্য 1500 টাকা
১২. রাজশাহী গিরিবাজ কবুতর
রাজশাহী গিরিবাজ কবুতর বছরে 10 জোড়া ডিম দিতে সক্ষম।
এই কবুতর আকাশে অনেক বাজি মারে।
এই কবুতরের বাজার মূল্য 1500 টাকা।
১৩. সিলভার সিরাজী কবুতর
এতে চেনার উপায় হচ্ছেঃঃ
এরা আকারে অনেক বড় হয়
শরীরের রং সিলভার কালার হয়
সিলভার সিরাজী কবুতর এক জোড়া দাম 3000 টাকা এবং এক জোড়া বাচ্চা কবুতর দুই থেকে তিন হাজার টাকার মধ্যে পাওয়া যায় টাকা
১৪. জার্ক কবুতর
এই কবুতরের বৈশিষ্ট হচ্ছে
শরীর এবং ঠোট দুটি আকারে ছোট।
গায়ের রং কাল।
চোখে হচ্ছে লাল রিং করা এবং ভিতর বাদামি কালার।
আকাশে 5-6 টা বাজি দিতে পারে।
এই কবুতর বছরে 8 জোড়া বাচ্চা দিতে সক্ষম।
এদের বাজার মূল্য হল পনেরশো টাকা।
এই কবুতরগুলো সাধারণত 1 বছরে 12 জোড়া ডিম দিতে সক্ষম। বাজারে এ কবুতরের মূল্য 1 হাজার টাকা হতে পারে, এবং বাচ্চা কবুতরগুলোর মূল্য 500 টাকা।
এ কবুতর-চেনার-উপায় বা এদের বৈশিষ্ট্য হলোঃ
এদের ঠোঁট অনেকটা ছোট,
এতে শরীরটা অনেকটা ছোট
চোখগুলো ডার্ক নাইট কাল
শরীরটা সম্পূর্ণ সাদা
১৫. ঝরনা সাটিন কবুতর
এ কবুতর-চেনার-উপায় বা এদের বৈশিষ্ট্য হলোঃ
এই কবুতরের শরীরটি ঝর্ণার মত দেখতে
শরীরের কালারটা সাদাকালো মিলিত
এই কবুতরের লেজ ও সাদা ও কালো মিশ্রিত
মাথার চাইতে ঠোঁটটা অনেকটাই ছোট।
ও চোখগুলো অনেক বড়
মাথায় ঝুটি বাধা থাকে এবং গলার নিচের অংশে কুঁচকানো ফুলা দেখা যায়।
এই কবুতরের দাম হলো 3000 টাকা এবং বাচ্চা কবুতর গুলোর দাম হল 2500 টাকা।
পরিশেষে:
এই ছিল আজকে ভাল কবুতর চেনার উপায় নিয়ে সংক্ষিপ্ত লেখা। আপনি যদি কবুতর ব্যবসায়ী তাহলেও, আপনার সুস্থ কবুতর চেনা থাকা জরুরি। কেননা, অসুস্থ কবুতর কিনে আনলে দেখা যাবে আপনার ব্যবসার বারটা বেজে যাবে। আর আপনি চাইলে কবুতরের মাধ্যমে অনলাইনে ব্যবসা করতে পারবেন।