অগ্নিপথ প্রকল্প ঘিরে বিক্ষোভের আঁচ ছড়াল হাওড়াতেও। শুক্রবার সকালে হাওড়া ব্রিজে বিক্ষোভ দেখান এক দল যুবক। প্রথমে তাঁদের পথ আটকায় হাওড়ার গোলাবাড়ি থানার পুলিশ। রবীন্দ্র সেতুতে অবরোধের চেষ্টা করলে তা রুখে দেয় উত্তর বন্দর থানার পুলিশ।
গোলাবাড়ি, বি গার্ডেন, ময়দান এলাকায় সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন এরকম প্রায় কয়েকশো যুবক শুক্রবার সকালে হাওড়ায় মিছিল করে কলকাতার দিকে এগোতে থাকেন। সেই সময়ে পুলিশ তাঁদের আটকায়। লাঠি উঁচিয়েও যেতে দেখা যায় পুলিশকে। বিক্ষোভকারীদের এক জন জানান, তাঁরা কলকাতায় সেনা আফিসে যেতে চান। যদিও পুলিশ হাওড়া ব্রিজে বিক্ষোভকারীদের আটকে দেয়। এই ঘটনায় সকালের দিকে হাওড়া ব্রিজে কিছুক্ষণ যান চলাচল ব্যাহত হয় বলে খবর।
অগ্নিপথ প্রকল্পে সেনায় চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের প্রতিবাদে শুক্রবার সকালে ঠাকুরনগর স্টেশনে রেল অবরোধ করা হয়। বিক্ষোভের জেরে শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখায় রেল পরিষেবা বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। সকাল ৭টা ৪৯ মিনিট নাগাদ অবরোধ শুরু হয়। পরে উঠে যায় অবরোধ। যার জেরে ব্যস্ত সময়ে চরম দুর্ভোগে পড়েন নিত্যযাত্রীরা।
কেন্দ্রীয় প্রকল্পের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার থেকেই অগ্নিগর্ভ বিহার, উত্তরপ্রদেশ-সহ একাধিক রাজ্য। দফায় দফায় বিক্ষোভ চলেছে বিহারের বিভিন্ন প্রান্তে।বৃহস্পতিবার বিহারের ছপরায় একটি ট্রেনে আগুন লাগিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা।একটি বাসেও ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ উঠেছে। আরা স্টেশনে পরিস্থিতি সামলাতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটায় পুলিশ। বিক্ষোভের জেরে বৃহস্পতিবার রাতে অগ্নিপথ প্রকল্পে নিয়োগের নিয়ম কিছুটা শিথিল করার সিদ্ধান্ত নেয় মোদী সরকার।এই প্রকল্পের ক্ষেত্রে বয়সের ঊর্ধ্বসীমা বাড়ায় কেন্দ্র। আবেদনের বয়স ২১ থেকে বাড়িয়ে ২৩ করা হয়েছে। কিন্তু তার পরও যে ক্ষোভের আগুন নেভেনি, তা শুক্রবারের ঘটনাপ্রবাহই সাক্ষী। ফের ট্রেন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। তেলঙ্গানার সেকেন্দরাবাদে আগুন লাগানো হয় একটি যাত্রিবাহী ট্রেনে। পূর্ব-উত্তরপ্রদেশের বালিয়া স্টেশনে একটি ট্রেনেও আগুন জ্বালিয়ে দেন বিক্ষোভকারীরা।