গত বছরের ২ অক্টোবর মুম্বাই থেকে গোয়াগামী প্রমোদতরি থেকে আটক করা হয়েছিল শাহরুখ খানের ছেলে আরিয়ান খানকে। পরদিনই তাঁকে গ্রেপ্তার করে ভারতের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ ব্যুরো (এনসিবি)। আলোচিত সেই ঘটনায় এনসিবির ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল আগেই। এবার খোদ এনসিবির শৃঙ্খলা বিভাগের তদন্তে উঠে এসেছে, আরিয়ানের মামলা তদন্তকারী সাত থেকে আট কর্মকর্তার আচরণ ছিল সন্দেহজনক। খবর এএনআইয়ের
গতকাল আরিয়ানের মাদক মামলা নিয়ে নিজেদের পর্যবেক্ষণ জমা দিয়েছে এনসিবির শৃঙ্খলা বিভাগ। এনসিবির সদর দপ্তর নয়াদিল্লিতে পাঠানো সেই প্রতিবেদনে আরিয়ানের মামলা তদন্তের বেশ কিছু গরমিল উঠে এসেছে।
এনসিবির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শৃঙ্খলা বিভাগের তদন্ত দলের কাছে সাত থেকে আট কর্মকর্তার আচরণ সন্দেহজনক মনে হয়েছে। তাদের মনে হয়েছে, ঘটনাটির যথাযথ তদন্ত হয়নি। উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই মামলাটিতে আরিয়ানকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়। সেটা কেন করা হয়, তা জানা যায়নি।
শৃঙ্খলা বিভাগের প্রতিবেদনে সন্দেহজনক কর্মকর্তাদের শাস্তির সুপারিশ করা করেছে। যার মধ্যে আছেন এনসিবি মুম্বাইয়ের আঞ্চলিক পরিচালকও। প্রতিবেদনটি তৈরির জন্য ৬৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছে এনসিবি।
ওই ঘটনা নিয়ে এখন পর্যন্ত আরিয়ান বা শাহরুখ খান মুখ খোলেননি। তবে ঘটনা নিয়ে বলেছেন আরিয়ানের মা গৌরী খান। করণ জোহরের শোতে আরিয়ানের আটক হওয়ার ঘটনা নিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘সেই সময় আমাদের নানা পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে। বলতে পারি, সেই পরিস্থিতির থেকে খারাপ আর কিছু হতে পারে না। মা-বাবা এবং অভিভাবক হিসেবে আমাদের অনেক ঝড়ঝাপটা সামলাতে হয়েছে। তবে আজ আমরা এক পরিবার হয়ে দাঁড়িয়ে আছি। আবারও সেই অবস্থানে পৌঁছেছি, যেখানে সবাই আমাদের ভালোবাসে।’