বেলজিয়ামকে হারিয়ে আকাশেই উড়ছিল মরক্কো। পরের ম্যাচে রুখে দিয়েছিল ক্রোয়েশিয়াকেও। এফ গ্রুপের শেষ ম্যাচে তাদের সামনে সমীকরণ ছিল কানাডাকে হারাতে পারলেই নকআউট। বৃহস্পতিবার কানডাকে ২-১ গোলে হারিয়েও দিয়েছে আফ্রিকার দেশটি। ফলে ৩৬ বছর পর প্রথমবার নকআউটে উঠে ইতিহাস গড়েছে আফ্রিকার দেশটি। তাও গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে।
ম্যাচের শুরু থেকে বলের দখল নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখে আক্রমণে উঠছিল মরক্কো। ম্যাচের মাত্র ৪ মিনিটের মাথায় কানাডার গোলকিপার মিলান বোরজার ভুলের সুযোগ নিয়ে মরক্কোকে এগিয়ে দেন চেলসি ফরোয়ার্ড হাকিম জিয়েখ।
৯ম মিনিটে মরক্কোর খেলোয়াড় ওউনাহিকে ফাউল করে হলুদ কার্ড দেখেন কানাডিয়ান স্ট্রাইকার জুনিয়র হয়েলেট। ফ্রি কিক পায় মরক্কো। তবে ৩০ গজ দূর থেকে নেয়া সেই ফ্রি কিক থেকে বল ক্লিয়ার করে গোলের সুযোগ নষ্ট করে দেন কানাডার ডিফেন্ডার ভিটোরিয়া।
১৬ মিনিটের মাথায় সতীর্থর থ্রু বল থেকে আবারও বল পায়ে পেয়ে কানাডার গোলবার লক্ষ্য করে শট নেন হাকিম জিয়েখ। কিন্তু সেই শটে বল গোলপোস্টের বেশ দূর দিয়েই চলে যায়।
অবশ্য দ্বিতীয় গোলের জন্য বেশিক্ষণ অপেক্ষা করতে হয়নি। ম্যাচের ২৩ মিনিটের মাথায় আশরাফ হাকিমির ছোড়া থ্রো বল থেকে বল পায়ে পেয়ে দৌড়ে কানাডার অর্ধে ঢুকে যান মরক্কোর আরেক স্ট্রাইকার ইউসুফ এন নেসারি। সেখান থেকে চমৎকার এক শটে কানাডার গোলরক্ষক মিলান বোরজাকে পরাস্ত করে বল জালে জড়ান এই সেভিয়া ফরোয়ার্ড।
প্রথমার্ধ শেষের ঠিক কয়েক মিনিট আগে নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে বসেন মরক্কান ডিফেন্ডার নায়েফ আগুয়ার্ড। এবারের বিশ্বকাপের প্রথম আত্মঘাতী গোল এটি। ২-১ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় মরক্কো।
বিরতির পর ৫৬ মিনিটে সমতায় ফেরার সুযোগ এসেছিল কানাডার সামনে। তবে সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি লারিন। ডান দিক থেকে নেওয়া ফ্রিকিক লারিনের সামনে দিয়ে গেলেও তিনি বল-পায়ে সংযোগ ঘটাতে পারেনি।
৭১ মিনিটে আটিবা হাচিনসনের হেড ক্রসবারে লেগে ফিরে আসলে আরেকটি সুযোগ হাতছাড়া হয় কানাডার।
শেষ পর্যন্ত আর গোল পায়নি কোনও দলই। ২-১ গোলের জয় নিয়ে মাঠ চাড়ে মরক্কো। এ জয়ে গ্রুপের শীর্ষে থেকে নকআউটে গেলো আফ্রিকার দেশটি।