কক্সবাজারে তৃতীয় পর্যায়ে নতুন নির্মিত ঘর পাবে এক হাজার ৪৬৩ গৃহহীন পরিবার। এর মধ্যে আগামী ২৬ এপ্রিল নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হলে ৮৬৭ পরিবারকে ঘর ও জমির দলিল হস্তান্তর করা হবে। ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত থেকে এ অনুষ্ঠান উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
রবিবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মো. মামুনুর রশীদ। তিনি জানান, তৃতীয় পর্যায়ে কক্সবাজার সদরে ঘর ও জমি বরাদ্দ পাবে ২৭০ গৃহহীন পরিবার। চকরিয়া উপজেলায় ২৫০ পরিবার, পেকুয়া উপজেলায় ৭১ পরিবার, রামু উপজেলায় ৪০০ পরিবার, মহেশখালী উপজেলায় ৪০ পরিবার, উখিয়া উপজেলায় ২৬৩ পরিবার, টেকনাফ উপজেলা ১১০ পরিবার, কুতুবদিয়া উপজেলায় ৫৯ পরিবার।
কক্সবাজার সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মিল্টন রায় জানান, বাংলাদেশে একজন মানুষও গৃহহীন থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীর এমন নির্দেশনা বাস্তবায়নে ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষের বাসস্থান নিশ্চিতকল্পে গৃহ নির্মাণ কার্যক্রম আশ্রয়ণ-২ প্রকল্প চলমান রয়েছে। এ কার্যক্রমের সঙ্গে কক্সবাজার সদর প্রথম থেকেই যুক্ত আছে। দুই শতাংশ জমিতে রুই রুমের পাকা ঘরের সঙ্গে রান্নাঘর, বাথরুম ও একটি বারান্দা। প্রত্যেক ঘরে ঘরে জ্বলবে বিদ্যুতের আলো। থাকবে বিশুদ্ধ পানির জন্য টিউবওয়েল।
ইউএনও আরও জানান, কক্সবাজার সদর উপজেলায় হালনাগাদকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের সংখ্যা (ক শ্রেণী) এক হাজার ৫৯টি। ২০২০-২১ অর্থবছরে নির্মিত ঘরের সংখ্যা ১৪৮টি। ২০২০-২২ অর্থবছরে নির্মাণাধীন ঘরের সংখ্যা ২৭০টি এবং ২০২২ সালে সম্পন্ন হবে ৬৪১টি।
সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আমিন আল পারভেজ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. জোবায়ের হাবিব, মুনমুন পালসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।