মাদারীপুরের কালকিনিতে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন–পরবর্তী সহিংসতার জেরে বর্তমান চেয়ারম্যান ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। এ সময় অন্তত পাঁচটি বসতঘরে ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়।
আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত দফায় দফায় উপজেলার লক্ষ্মীপুর বাজারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ সকালে কালকিনির লক্ষ্মীপুর ইউপির পরাজিত ও সাবেক চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসেন কাজীর সমর্থক ইমাম ব্যাপারী লক্ষ্মীপুর বাজারে যান। এ সময় ওই ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান মৌসুমী সুলতানার সমর্থক শহিদুল সরদার ইমামকে মারধর করেন। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বাজারের ভেতরে শুরু হয় উত্তেজনা। একপর্যায়ে তোফাজ্জেল ও মৌসুমীর সমর্থকেরা দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন। এতে ১০ জন আহত হন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ। এ ঘটনার পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় লক্ষ্মীপুর বাজারের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান তোফাজ্জেল হোসেন কাজী অভিযোগ করে বলেন, ‘মৌসুমী নামেই মাত্র চেয়ারম্যান। তার স্বামী ফজলুর হক ব্যাপারী এ ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি। তিনিই মূলত এলাকায় আধিপত্য দেখানোর জন্য ও আমাকে এলাকাছাড়া করার জন্য আমার সমর্থকদের ওপর হামলা চালায়। এর আগেও ফজলু আমার নেতা–কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে। নেতা–কর্মীদের বাড়িঘর ভাঙচুর করেছে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।’
অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে ফজলুর হক ব্যাপারী বলেন, ‘আমার কোনো নেতা–কর্মী এই হামলার সঙ্গে জড়িত নয়। তোফাজ্জেলের অভিযোগ মনগড়া। তার নেতা–কর্মীরা এলাকায় হামলা, চুরি–ডাকাতি করে আসছে। এ কারণে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ।’
কালকিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পিংকি সাহা বলেন, ‘এলাকায় রাজনৈতিক আধিপত্য নিয়েই মূলত দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। খবর পাওয়ামাত্রই সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসি। পরিস্থিতি এখন শান্ত আছে। পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কায় ওই এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোতায়েন করা হয়েছে।’