চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে মোহাম্মদ সোহেল (৩৬) খুনের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। শনিবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে নিহতের বড় ভাই কাশিয়াইশ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাশেম বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
মামলায় ৮ জনের নাম উল্লেখসহ ৫-৬ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। পুলিশ অভিযান চালিয়ে মামলার এজাহারভুক্ত দুই আসামি মনসুর ও জনিকে গ্রেফতার করেছে।
পটিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল করিম মজুমদার এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, ‘চেয়ারম্যান নির্বাচন নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে মূলত এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করছি। এ ঘটনায় দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।’
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০টার দিকে মসজিদ থেকে তারাবির নামাজ পড়ে বাড়ি ফেরার পথে উপজেলার শান্তিরহাট বুধপুরা বাজার এলাকায় ছুরিকাঘাতে মোহাম্মদ সোহেল (৩৬)-সহ চার জন গুরুতর আহত হন। আহত অপর তিন জন হলেন-মো. সাজ্জাদ (২০), সাদ্দাম হোসেন (৩০) ও জয়নাল আবেদীন (৩০)। রাতে আহতদের চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক সোহেলকে মৃত ঘোষণা করেন।
পটিয়া উপজেলার কাশিয়াই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কাসেম বলেন, ‘আমার সঙ্গে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হেরে গিয়ে আমার ছোটভাইকে খুন করে প্রতিশোধ নিয়েছে বিএনপি প্রার্থী কায়েস।’