নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান ও ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর নেতা সুব্রত সাংমা (৪৭) হত্যা মামলার প্রধান আসামি মো. শামীম মিয়া (৩০) ওরফে শুটার শামীম আদালতে আত্মসমর্পণ করেছেন।
আজ বুধবার বিকেলে নেত্রকোনা জজ আদালত যুগ্ম-১-এ আত্মসমর্পণ করেন শামীম মিয়া। পরে আদালত তাঁকে কারাগারে পাঠান। বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ।
আসামি শামীম মিয়া কুল্লাগড়া ইউনিয়নের কাকড়াকান্দা গ্রামের বাসিন্দা। তিনি কুল্লাগাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সদস্যসচিব আবদুল আওয়ালের ছোট ভাই।
দুর্গাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, ২০১৪ সালের ১৬ ডিসেম্বর থেকে গত ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে খুন, মাদক, অস্ত্র, নাশকতা, সীমান্তে চোরাচালানিসহ শামীমের বিরুদ্ধে দুর্গাপুর থানায় অন্তত ১৪টি মামলা আছে। এলাকায় তিনি শুটার শামীম নামে পরিচিত।
স্থানীয় বাসিন্দা ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পূর্ববিরোধের জেরে সীমান্তে অবৈধ ব্যবসায় বাধা দেওয়ায় গত ২৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় কুল্লাগড়ার রাশিমনি বাজারে ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল আওয়াল ও তাঁর ভাই মো. শামীম মিয়ার নেতৃত্বে সুব্রত সাংমার ওপর দুই দফা হামলা চালানো হয়। আহত অবস্থায় সুব্রত সাংমাকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৮ অক্টোবর তিনি মারা যান।
এ ঘটনায় নিহত সুব্রত সাংমার বোন কেয়া সাংমা বাদী হয়ে থানায় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল আওয়াল ও তাঁর ভাই মো. শামীম মিয়া, সহযোগী মো. বদিউজ্জামানসহ ১৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। গত সোমবার রাতে চেয়ারম্যান আবদুল আওয়ালকে বাগেরহাট থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন বিকেলে তাঁকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
দুর্গাপুর থানার ওসি মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, সুব্রত সাংমা হত্যা মামলার অন্য ১৩ আসামিকে গ্রেপ্তার অভিযান চলছে