মানিকগঞ্জ পৌর এলাকায় একটি বাসায় আজ মঙ্গলবার ভোরে দেশলাইয়ের কাঠি জ্বালাতেই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এতে ওই ফ্ল্যাটের বাসিন্দা স্বামী, স্ত্রী ও তাঁদের এক শিশুসন্তানসহ চারজন গুরুতর দগ্ধ হয়েছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গ্যাস সংযোগ ভুল করে চালু রাখায় এ ঘটনা ঘটেছে।
সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নারাঙ্গাই এলাকায় ওই বাসায় গিয়ে দেখা যায়, ফ্ল্যাটের কক্ষের একটি দেয়াল ধসে গেছে। দরজা-জানালা ছিটকে দূরে গিয়ে পড়ে আছে। বিস্ফোরণের আঘাতে পাশের অপর একটি বাসার কক্ষের জানালার কাচ ভেঙে পড়ে আছে। দগ্ধ ব্যক্তিরা হলেন, রাশেদুল ইসলাম (৪৫), তাঁর স্ত্রী সোনিয়া আক্তার (৩০), তাঁদের আড়াই বছরের ছেলে রিফাত হোসেন এবং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের কর্মচারী ফারুক হোসেন (৩৮)। তাঁদের গ্রামের বাড়ি সাটুরিয়া উপজেলার রাইল্ল্যা গ্রামে।
গুরুতর অবস্থা ওই দম্পতি ও তাঁদের সন্তানকে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে পাঠানো হয়েছে। আর ফারুককে ভর্তি করা হয়েছে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে।
থানা-পুলিশ এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নারাঙ্গাই এলাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে মাংসের ব্যবসা করেন রাশেদুল ইসলাম। গতকাল সোমবার ঝড়বৃষ্টির কারণে ফ্ল্যাটের দরজা ও জানালা বন্ধ করে রাতে ঘুমিয়ে পড়েন তাঁরা। ফ্ল্যাটের একটি কক্ষে রাশেদুল ও কর্মচারী ফারুক এবং অপর কক্ষে রাশেদুলের স্ত্রী ও শিশুসন্তান রিফাত ঘুমিয়ে পড়েন।
অগ্নিদগ্ধ ফারুক হোসেন ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেন, ‘আজ ভোর চারটার দিকে রাশেদুল ঘুম থেকে ওঠে দোকানে যাওয়ার জন্য আমাকে ঘুম থেকে উঠতে ডাকাডাকি করেন। ঘুম থেকে ওঠে আমরা কক্ষের ভেতর কিছুটা বিকট গন্ধ অনুভব করি। এ সময় রাশেদুল সিগারেটে আগুন ধরানোর জন্য দেশলাইয়ের কাঠি জ্বালানোর পরপরই বিকট শব্দে বিস্ফোরণ ঘটে। এরপর কী ঘটেছে আর বলতে পারি না।’
এ ব্যাপারে মানিকগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের দলনেতা (লিডার) বশির আহমেদ বলেন, রাতের বেলা দরজা-জানালা বন্ধ করে গ্যাসের লাইন চালু রাখতে পারে বাড়ির লোকজন। কোনো কারণে আগুন জ্বালানোর পর বদ্ধ কক্ষে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুর রউফ সরকার বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।