মালিক সমিতির ডাকা ‘পরিবহন ধর্মঘটে’ বাগেরহাট থেকে খুলনাসহ সারা দেশে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে সমাজসেবা অধিদপ্তরের ইউনিয়ন সমাজকর্মী পদের নিয়োগ পরীক্ষায় ৬৬ শতাংশ পরীক্ষার্থী অনুপস্থিত ছিলেন। আজ শুক্রবার সারা দেশের মতো বাগেরহাটেও এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।
‘ধর্মঘটের’ কারণে ভোর থেকে বাস চলাচল বন্ধ থাকায় পরীক্ষাকেন্দ্রে আসতে পারেননি বলে অনেক চাকরিপ্রত্যাশীর দাবি। শরিফুল ইসলাম নামের এক পরীক্ষার্থী বলেন, তিনি যে কক্ষে পরীক্ষা দিয়েছেন, সেখানে ৮০ জনের আসন থাকলেও, উপস্থিত ছিলেন মাত্র ২৫ জন। রাজনীতির এই রেশারেশিতে যাঁরা পরীক্ষায় অংশ নিতে পারেননি, তাঁদের দায়িত্ব কে নেবেন—প্রশ্ন এই চাকরিপ্রত্যাশীর।
আগামীকাল শনিবার খুলনা মহানগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিভাগীয় গণসমাবেশের ডাক দিয়েছে বিএনপি। এ সমাবেশে দলীয় নেতা-কর্মীদের আসা বাধাগ্রস্ত করতে খুলনা জেলা বাস মালিক সমিতি দুই দিনের (২১ ও ২২ অক্টোবর) ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে বলে অভিযোগ দলটির।
শুক্রবার ভোরে শরণখোলা উপজেলা থেকে নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ নিতে বাগেরহাটের উদ্দেশে রওনা দিয়েও মাঝপথে বাড়িতে ফিরে যাওয়া এক পুরুষ পরীক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ ভোরে পরীক্ষায় অংশ নিতে মোটরসাইকেল ভাড়া করে রওনা দিয়েছিলাম। পথে রায়েন্দা বাসস্ট্যান্ডে আধা ঘণ্টা আটকে রেখে বিএনপির লোক ভেবে আমাকে বাড়ি ফিরে যেতে বলেন শ্রমিক লীগের লোকজন। তাঁদের অনেক অনুরোধ করলেও আমাকে যেতে দেওয়া হয়নি।’
অনুপস্থিতির বড় কারণ পরীক্ষাকেন্দ্রে আসতে যানবাহন না পাওয়া বলে মনে করেন বাসাবাটি রহমানিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষা দেওয়া শিউলি আক্তার। তিনি বলেন, ‘আমার বাসা থেকে পরীক্ষাকেন্দ্রের দূরত্ব মাত্র চার কিলোমিটার। ধর্মঘটের কারণে এইটুকু পথ যেতে সময় লেগেছে এক ঘণ্টা। ইজিবাইকসহ ছোট ছোট যানবাহন চলাচলেও মোড়ে মোড়ে আটকানো হচ্ছিল। তাই এই পথের কিছুটা হেঁটে ও কিছুটা ভ্যানে করে যেতে হয়েছে।’
শিউলি আক্তার আরও বলেন, ‘পরীক্ষাকেন্দ্রে আমি যে কক্ষে পরীক্ষা দিয়েছি, সেখানে সিট ছিল ৪০টি। তবে উপস্থিত হন মাত্র ১১ জন।’