নাইজেরিয়ার নদী রাজ্যে একটি অবৈধ তেল শোধনাগারে বিস্ফোরণে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। স্থানীয় সরকারি কর্মকর্তা এবং একটি পরিবেশবাদী গ্রুপ এ তথ্য জানিয়েছে।
. . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . . .
দেশটির তেল সম্পদ রাজ্য কমিশনার গুডলাক ওপিয়া শনিবার জানিয়েছেন, ‘একটি অবৈধ বাঙ্কারিং সাইটে ওই আগুন লাগে। এতে ১০০ জনেরও বেশি মানুষ দগ্ধ হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন।’
নাইজেরিয়ায় বেকারত্ব ও দারিদ্র্য নিরসনে অবৈধ তেল শোধন করা একটি আকর্ষণীয় ব্যবসায় পরিণত হয়েছে। কিন্তু এটার একটি মারাত্মক পরিণতি আছে। এই প্রক্রিয়ায় প্রধান তেলকোম্পানির পাইপলাইন থেকে তেল ট্যাপ করা হয় এবং অস্থায়ী ট্যাঙ্কে পরিশোধিত হয়।
বিপজ্জনক এই প্রক্রিয়া মারাত্মক দুর্ঘটনার দিকে পরিচালিত করেছে এবং একটি অঞ্চলকে দূষিত করেছে; যা ইতোমধ্যেই কৃষি জমি ও উপহ্রদগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
ইয়ুথস অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টাল অ্যাডভোকেসি সেন্টার জানিয়েছে, বেআইনি জ্বালানি কেনার জন্য লাইনে থাকা বেশ কয়েকটি গাড়ি বিস্ফোরণে পুড়ে গেছে।
আল জাজিরার প্রতিনিধি ফিদেলিস এমবাহ বলেছেন, দক্ষিণ নাইজেরিয়ার আশেপাশে বহু মানুষ অবৈধ তেল ব্যবসার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘তরুণরা জানে যে এটি বিপজ্জনক, কিন্তু দারিদ্র্যের কারণে, তারা এসব অবৈধ শোধনাগারে কাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার বলেছে, অবৈধ এই শোধনাগারের মালিক বর্তমানে পলাতক রয়েছে এবং তাকে যেকোনও মূল্যে গ্রেফতার করা হবে। তাকে গ্রেফতারের পর ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।’