Image default
অন্যান্য

নেপালে জোট সরকার গঠন নিয়ে তোড়জোড়

দক্ষিণ এশিয়ার হিমালয়কন্যা নেপালে ভোট-পরবর্তী দর-কষাকষি প্রতিনিয়ত রং বদলাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, খগেন্দ্র প্রসাদ (কেপি) শর্মা ওলির দলের সঙ্গে হাত মিলিয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী হবেন সাবেক মাওবাদী নেতা পুষ্পকমল দহল প্রচণ্ড। অন্যদিকে ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া নেপালি কংগ্রেসের নেতা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দিউবা।

২৩৯ বছরের রাজতন্ত্র বিলুপ্তির পর গত ২০ নভেম্বর নেপালে দ্বিতীয়বারের মতো সাধারণ নির্বাচন হয়েছে।

এতে সবচেয়ে বেশি আসন পেতে যাচ্ছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শের বাহাদুর দিউবার নেতৃত্বাধীন নেপালি কংগ্রেস। দলটি ৯০টির মতো আসন পেতে পারে। কেপি শর্মা ওলির নেতৃত্বাধীন কমিউনিস্ট পার্টি অব নেপাল-ইউনাইটেড মার্ক্সিস্ট লেনিনিস্ট (সিপিএন-ইউএমএল) ৮০টি আসন নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকছে। প্রচণ্ডের মাওবাদী কেন্দ্র (সিপিএন-এমসি) ৩১টি আসন নিয়ে আছে তৃতীয় স্থানে। এবার রবি লামিচান্নে নামের একজন সাংবাদিকের নেতৃত্বে গঠিত রাষ্ট্রীয় স্বতন্ত্র দল ২১ আসনে জয়লাভ করে চতুর্থ স্থান দখল করেছে।

 

২০ নভেম্বর প্রাদেশিক পরিষদের নির্বাচনও হয়। প্রাদেশিক পরিষদসহ নির্বাচনের সামগ্রিক ফলপ্রকাশ এখনো কিছুটা বাকি।
নেপালের আইনসভার নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদের ২৭৫টি আসনের মধ্যে ১৬৫টিতে সরাসরি নির্বাচন হয়। ২০১৫ সালের সংবিধান অনুযায়ী, সামগ্রিকভাবে ১৩৮ জন আইনপ্রণেতার সমর্থন নিয়ে সরকার গঠন করতে হয়।

তৃতীয় হয়েও দর-কষাকষিতে জোরালো অবস্থান নিয়েছেন মাওবাদী কেন্দ্র নেতা প্রচণ্ড। ‘কিং মেকার’ নাকি নিজেই ‘কিং’ হন প্রচণ্ড—সেটাই নেপালে এখন মূল আলোচনা। নেপালি কংগ্রেস এবং মাওবাদী কেন্দ্রের বিদ্যমান ঐক্য ভাঙার আশঙ্কা করছেন কংগ্রেসের একটি অংশের নেতারা।

নেপালি কংগ্রেসের নেতা প্রধানমন্ত্রী আবার সরকার গঠন করতে ছোট দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। জনমত পার্টি, নাগরিক উন্মুক্তি পার্টি, লোকতান্ত্রিক সমাজবাদী পার্টির শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে এরই মধ্যে আলোচনা করছেন তিনি। তবে দিউবার জন্য পথ সহজ হচ্ছে না। কারণ কংগ্রেসের গগন থাপা, রামচন্দ্র পোডেল কিংবা শেখর কৈরালার মতো নেতারাও ক্ষমতার দাবিদার।

দিউবার সরকারের শরিক সাবেক প্রধানমন্ত্রী মাধব কুমার নেপালের নেতৃত্বাধীন সিপিএন-ইউনিফাইড সোশ্যালিস্ট (সিপিএন-ইউএস) দলের নেতা মেতমানি চৌধুরী অবশ্য বলছেন, দিউবাই হচ্ছেন পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। দিউবার সরকারের নগর উন্নয়নমন্ত্রী মেতমানি চৌধুরী আরো জানান, তাঁদের দলের মনোনয়নে নিম্নকক্ষের স্পিকার এবং মাওবাদী কেন্দ্রের মনোনয়নে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন। প্রাদেশিক মুখ্যমন্ত্রীর পদ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদও ক্ষমতা ভাগাভাগির মাধ্যমে নির্বাচিত করা হবে।
শের বাহাদুর দিউবার দৌড়ঝাঁপের মধ্যে প্রচণ্ডও তাঁর তত্পরতা চালিয়ে যাচ্ছেন। এই মধ্যে তিনি সিপিএন-ইউএস নেতা মাধব নেপাল, নেপাল সমাজবাদী পার্টির চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বাবুরাম ভট্টরাই থেকে শুরু করে নাগরিক জনমুক্তি পার্টির কারাবন্দি নেতা রেশাম চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করেছেন।

প্রচণ্ডর প্রধানমন্ত্রিত্বের দাবি সম্পর্কে ইঙ্গিত দিয়েছেন তাঁর প্রধান ব্যক্তিগত সচিব রমেশ মাল্লা। নেপালি কংগ্রেসের গৃহবিবাদের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, দিউবাকে নেতৃত্ব থেকে সরাতে দলটির মধ্যে বড় দ্বন্দ্ব রয়েছে। রমেশ মাল্লা বলেন, ‘সরকার গঠনের গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা এখনো শুরু হয়নি। কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে চেয়ারম্যানের (প্রচণ্ড) নেতৃত্বে সরকার গঠনের সম্ভাবনা আমরা বাতিল করে দিচ্ছি না। ’ সূত্র : কাঠমাণ্ডু পোস্ট

Related posts

কলেজ ভর্তির নীতিমালা চূড়ান্ত, আবেদন শুরু ৮ ডিসেম্বর

News Desk

বিএসআরএম কারখানায় রড পড়ে শ্রমিকের মৃত্যু

News Desk

ফুটবল খেলা দেখতে গিয়ে টিনের চাল থেকে পড়ে একজনের মৃত্যু

News Desk

Leave a Comment