পঞ্চগড় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মো. নোমান হাসানসহ অন্য নেতা-কর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে পঞ্চগড় প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
এর আগে মঙ্গলবার পঞ্চগড়ের বোদা পৌরসভার শিমুলতলী এলাকায় জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মো. নোমান হাসানসহ কয়েকজন ছাত্রনেতার ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। সেই সংবাদ প্রথম আলো অনলাইন ও ছাপা সংস্করণে ছাপা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবু মো. নোমান হাসান বলেন, জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহাদ আলমের অসুস্থ মাকে দেখতে তাঁরা গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বোদা উপজেলার প্রামাণিকপাড়া এলাকায় যান। ফেরার পথে শিমুলতলী এলাকায় বোদা উপজেলা ছাত্রলীগের অনুমোদনহীন কমিটির সভাপতি রুবায়েদ হুসেন ও সাধারণ সম্পাদক আনজাম পিয়ালের নেতৃত্বে ২৫ থেকে ৩০ জন তরুণ তাঁদের সামনে এসে দাঁড়ান। এ সময় তাঁরা কার অনুমতিতে বোদা উপজেলায় ঢুকেছেন বলে নোমান হাসানের কাছে জানতে চান। একপর্যায়ে তাঁদের (রুবায়েদ হুসেন ও আনজাম পিয়ালের) পেছনে থাকা একজন হঠাৎ করেই নোমান হাসানের মাথা লক্ষ্য করে একটি ইট ছুড়ে মারেন। সেই ইট নোমান হাসানের মাথায় না লেগে পেছনে থাকা ছাত্রলীগের কর্মী রাশেদ আলীর মাথায় গিয়ে লাগে। এতে তাঁর মাথা ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে। এ সময় অন্যরা রাশেদ আলীকে একটি মোটরসাইকেলে তুলে বোদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যেতে চাইলে তাঁদের ওপর লাঠিসোঁটা দিয়ে হামলা করা হয়। এতে মাথার পেছনে আঘাত লেগে আসাদুল্লাহ সাগর মাটিতে পড়ে যান এবং আরিফ হোসেনও আহত হন। পরে বাকিরা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। সেখান থেকে তাঁদের পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতালে নেওয়ার পর আসাদুল্লাহর অবস্থার অবনতি হলে রাতেই তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নোমান হাসান বলেন, ওই দিনের ঘটনার বিষয়ে বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুজয় কুমার রায় কোনো তদন্ত না করেই একটি পক্ষের ইন্ধনে সেখানে কোনো মারামারির ঘটনা ঘটেনি এবং মোটরসাইকেল থেকে পড়ে তাঁরা আহত হয়েছেন বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বক্তব্য দেন। ওসির বক্তব্য প্রত্যাহার করে তদন্তমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়। তা নাহলে তাঁরা পুলিশের বিরুদ্ধেও আন্দোলনে যেতে বাধ্য হবেন।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে নোমান হাসান বলেন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের আদেশ অমান্য করে গত ২০ জুলাই বোদা উপজেলা ছাত্রলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। কেন্দ্রের নির্দেশনা মেনে তিনি সেই সম্মেলনে উপস্থিত হননি এবং ওই কমিটির অনুমোদনপত্রে স্বাক্ষর করেননি। কমিটির অনুমোদনপত্রে স্বাক্ষরের জন্য তাঁর ওপর একটা চাপ ছিল। এ জন্যই হয়তো তাঁদের ক্ষোভ ছিল। হামলার বিষয়টি তাঁরা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নেতাদের জানিয়েছেন। এ ছাড়া আগামী রোববার আদালতে মামলা করবেন।