চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম ভোটের মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। কিন্তু তাঁর একমাত্র প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির কেন্দ্রীয় মহাসচিব নারায়ণ রক্ষিতকে নির্বাচনী মাঠে দেখা যাচ্ছে না। তিনি বিভিন্ন কৌশলে গোপনে প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে দাবি করেছেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চেয়ারম্যান প্রার্থী নারায়ণ রক্ষিত গতকাল বিকেলে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘হুমকি-ধমকির কারণে এক সপ্তাহ ঢাকায় ছিলাম।
নির্বাচনের দায়িত্বে থাকা রিটার্নিং অফিসারের কাছে এসব অভিযোগ জানিয়েছেন কি না—এ প্রশ্নের জবাবে নারায়ণ বলেন, ‘চার দিন আগে রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে দেখা করে হুমকি-ধমকি পাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছি। উনি বলেছেন লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য। প্রচারণার কারণে দিতে পারিনি। লিখিত অভিযোগ দেব। ’
নারায়ণ রক্ষিত দাবি করেন, ‘প্রকাশ্যে গণসংযোগসহ প্রচারণা চালাতে না পারলেও বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে ভোট চাচ্ছি। তাঁরা আশ্বস্ত করেছে নীরব ব্যালট বিপ্লবের মাধ্যমে আমাকে নির্বাচিত করবেন। সুষ্ঠু ভোট হলে আমি ৯০ শতাংশ ভোট পাব। আমার কারণে একতরফাভাবে ভোট হচ্ছে না। এবারই প্রথম চেয়ারম্যান পদে ভোট হচ্ছে। ’
এর আগে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী ও উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম গতকাল বিকেলে কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আশা করেছিলাম আমার প্রতিদ্বন্দ্বী মাঠ চষে বেড়াবেন। কিন্তু হাতে গোনা কয়েকটি এলাকা ছাড়া উনাকে (নারায়ণ রক্ষিত) গণসংযোগ ও প্রচারণায় দেখা যাচ্ছে না। তবে তিনি যেখানে যাচ্ছেন সেখানে কাল্পনিক ও অরুচিকর এবং অশালীন কথাবার্তা বলছেন। আশা করি বিপুল ভোটে আমি নির্বাচিত হব। ’
নারায়ণ রক্ষিতের অভিযোগ অস্বীকার করে পেয়ারুল বলেন, ‘প্রস্তাবক ও সমর্থককে অপহরণ করলে এবং হুমকি-ধমকি দিলে উনি (নারায়ণ) থানায় মামলা করেছেন কি না জিজ্ঞাসা করেন। নির্বাচন কমিশন এখন অনেক শক্ত। এসব ব্যাপারে নির্বাচন কমিশনে লিখিত অভিযোগ করেছেন কি না তা প্রার্থীর কাছে জিজ্ঞাসা করেন। এ ব্যাপারে আমার কোনো বক্তব্য নেই। ’