বিএনপির আগের বিভাগীয় গণসমাবেশেরগুলোয় দুই-তিন দিন আগে থেকেই শত শত নেতা–কর্মী সমাবেশস্থলে জড়ো হন। পরিবহণ ধর্মঘটের কারণে বাড়ি থেকে চিড়া-মুড়ি নিয়ে এসে সমাবেশের মাঠেই ঘুমাতে দেখা যায় তাঁদের। এবার ফরিদপুরের গণসমাবেশ ঘিরে অনেকটা একই চিত্র দেখা গেছে। চাদর, কাঁথা, বিছানা নিয়ে আগেই এসেছেন অনেক নেতা–কর্মী। অনেকে স্থানীয় লোকজনের বাড়ির উঠানে, বারান্দায় রাত কাটাচ্ছেন।
ফরিদপুর শহর থেকে ছয় কিলোমিটার দূরে কোমরপুর আবদুল আজিজ ইনস্টিটিউশন মাঠে আজ শনিবার বেলা ১১টায় শুরু হবে বিএনপির ফরিদপুরে বিভাগীয় গণসমাবেশ। সেই মাঠের পেছনে রাহেলা বেগমের বাড়ি। তাঁর বাড়ির উঠানে শুয়ে ছিলেন এরশাদ হোসেন মনিসহ কয়েকজন। এরশাদ হোসেন এসেছেন গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার পাটগাতি থেকে। সেখানে ইলেকট্রনিকস পণ্যের ছোট্ট একটি ব্যবসা রয়েছে তাঁর।
এরশাদ হোসেন জানালেন, তাঁরা ১০০ জনের একটি দল গত বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রায় ৮৫ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে সমাবেশস্থলে এসে পৌঁছান। রাতে মাঠেই ঘুমান। সেখানে খাওয়া-দাওয়া করেন। শুক্রবার জুমার নামাজের পর মাঠে লোকজন বেড়ে যায়। তাই তিনিসহ কয়েকজন মাঠ থেকে চলে আসেন। রাহেলার বাড়ির উঠানে বিছানা পাতেন। তাঁর মতো অনেকেই কোমরপুরের বিভিন্ন বাড়ির উঠানে, ঘরের বারান্দায় চাদর বা পাতলা কাঁথা পেতে আশ্রয় নিয়েছেন বরে জানান এরশাদ হোসেন।
বিছানাপত্রের বিষয়ে জিজ্ঞেস করা হলে এরশাদ হোসেন বলেন, ‘এই বিছানা (তোষক) আমার। এখানে এসে কিনেছি। এক পিস ২০০ টাকা। আর কাঁথা–চাদর বাড়ি থেকে এনেছি। অনেক দূর থেকে এসেছি, তাই সঙ্গে নিয়ে এসেছি।’
অপরিচিত একজনের বাড়ির উঠানে এভাবে শুয়ে আছেন, তাঁরা কিছু বলেননি? এমন প্রশ্নের জবাবে এরশাদ হোসেন বলেন, ‘এখানে আসার পর আমরা জিজ্ঞেস করেছি, উঠানে বিছানা করে বিশ্রাম নিলে তাঁদের কোনো সমস্যা হবে কি না। তাঁরা বলেছেন, কোনো সমস্যা নেই, আপনারা থাকেন।’