ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্রের পাঁচটি রোগে দেশের মানুষের মৃত্যু বাড়ছে। এসব রোগের প্রধান কারণ বায়ুদূষণ। সাধারণ মানুষ ও নীতিনির্ধারকেরা সচেতন না হলে দেশে ফুসফুসের রোগে মৃত্যু বাড়বে।
বিশ্ব ফুসফুস দিবস উপলক্ষে গতকাল শনিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) এক অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞরা এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগ এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ও প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, করোনা মূলত ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্রের রোগ। এ মহামারি বুঝিয়ে দিয়েছে ফুসফুস সবল থাকা কত জরুরি।
বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা জানান, বাংলাদেশে ফুসফুসের পাঁচটি রোগে বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে এবং মারা যাচ্ছে। এর মধ্যে আছে শ্বাসতন্ত্রের দীর্ঘস্থায়ী রোগ, অ্যাজমা, যক্ষ্মা, নিউমোনিয়া ও ফুসফুসের ক্যানসার। অপরিকল্পিত নগরায়ণ, ধূমপান ও বায়ুদূষণ এসব রোগের প্রধান কারণ।
বিএসএমএমইউর উপাচার্য মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, সুস্থ ফুসফুসের জন্য বিশুদ্ধ বায়ু প্রয়োজন। এর জন্য বেশি করে গাছ লাগানো দরকার।
প্রতিবছর ২২ সেপ্টেম্বর বিশ্ব ফুসফুস দিবস পালিত হয়। তবে এ বছর ওই দিন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে পারেনি কর্তৃপক্ষ। ফুসফুস দিবসের এবারের প্রতিপাদ্য ‘ফুসফুসের সুস্বাস্থ্য সকলের জন্য’।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও রেসপিরেটরি মেডিসিন বিভাগের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আতিকুর রহমান বলেন, গর্ভকালে মায়ের অপুষ্টি ও অপরিণত শিশুজন্ম শিশুর দুর্বল ফুসফুসের কারণ হতে পারে। আবার বায়ুদূষণ ও ধূমপান প্রাপ্তবয়স্কদের ফুসফুস দুর্বল করে। পাথরভাঙা, জাহাজভাঙা, ঝালাইশিল্পের মতো কিছু জীবিকার কারণেও একই ক্ষতি হতে পারে।