বরগুনার তালতলীতে মারুফা নামের সপ্তম শ্রেণির এক মাদরাসা ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত মারুফা উপজেলার ছোটবগী ইউনিয়নের বেতিপাড়া গ্রামের হানিফ হাওলাদারের মেয়ে।
শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) সকালে নিজ বাড়ির পাশে পুকুর পাড় থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই ছাত্রীর প্রেমিক হৃদয়কে আটক করেছে পুলিশ।
স্থনীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী ঠংপাড়া কলেজ রোডের বাসিন্দা সুলতান পাহলানের ছেলে এক সন্তানের জনক হৃদয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল মাদরাসা ছাত্রী মারুফার। গতকাল বৃহস্পতিবা) সন্ধ্যায় তারা দুজনে দেখা করে।
এ সময় স্থানীয় লোকজন তাদের আটক করে প্রেমিক হৃদয়ের চাচা সোনা মিয়া ও বড় ভাই সোলেমানের নিকট জিম্মায় দিলেও উভয়েই যে যার বাড়িতে চলে যায়। শুক্রবার সকালে তাদের পারিবারিকভাবে বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। প্রেমিকা মারুফার নিজ বাড়ির পাশে পুকুরপাড়ে তার মরদেহ দেখতে পায় মারুফার ছোট বোন মারিয়া। এসময় বোন মারিয়ার ডাকচিৎকারে স্বজনসহ প্রতিবেশীরা এসে মারুফার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে তালতলী থানা পুলিশকে সংবাদ দেয়। পুলিশ এসে মরদেহ উদ্ধার করে তাদের হেফাজতে নিয়ে ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে প্রেরণ করেন। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে প্রেমিক হৃদয়কে।
মারুফার ছোট বোন মারিয়া জানান, সকালে ঘুম থেকে উঠে পুকুরপাড়ের ঘাটে যাই। এসময় দেখি মারুফা আপু পুকুরপাড়ে পরে রয়েছে। আমি ভাবছিলাম অজ্ঞান হয়ে পড়ে রয়েছে। তাই কাছে গিয়ে ডাকাডাকি করি কিন্তু কোন সারা শব্দ নাই, এরপর শরীরে হাত দিয়ে দেখি ঠান্ডা হয়ে আছে। পরে আমি ডাকচিৎকার দিলে বাড়ির ও আশপাশের লোকজন জড়ো হয়। পরে ঘটনাস্থলে তালতলী থানা পুলিশ আসে।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এসএম তারেক রহমান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তখন ঘটনা সম্পর্কে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
তালতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাকোয়াত হোসেন তপু মুঠোফোনে বলেন, মারুফা নামে সপ্তম শ্রেণির এক মাদরাসা ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য বরগুনা মর্গে পাঠানো হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই ছাত্রীর প্রেমিক হৃদয়কে আটক করা হয়েছে।