বাংলাদেশি অভিবাসীরা ধর্মীয় উগ্রবাদে জড়িত নয়। তবে ২ দশমিক ৩ শতাংশ প্রবাসী রাজনৈতিক ও সহিংসতার চিন্তা থেকে তাঁদের কষ্টার্জিত আয়ের একটা অংশ ধর্মীয় বিভিন্ন দলকে দিচ্ছে। ‘উগ্রবাদ ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন: বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিতে এর বাস্তবতা’ শীর্ষক এক গবেষণায় এমন চিত্র দেখা গেছে।
সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ওমান, কুয়েত, কাতার, লিবিয়া, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের ৪০০ জন অভিবাসীদের ওপর জরিপ চালিয়ে এ ফলাফল পাওয়া গেছে। ব্র্যাকের সহযোগিতায় গবেষণাটি করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক সাহাব এনাম খান।
যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে সাহাব এনাম খান গবেষণা নিয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। তিনি বলেন, জরিপে অংশ নেওয়া ৮৯ শতাংশ উত্তরদাতা নিজের বাঙালি সত্ত্বা নিয়ে গর্ববোধ করেন। আর ৪৪ দশমিক ৮ শতাংশ প্রবাসী দাতব্যভিত্তিক কাজে অর্থ ব্যয় করেন। ৪১ দশমিক উত্তরদাতা মনে করেন রাজনীতিবিদেরা সমাজকে আরও ভালোভাবে পরিবর্তন করতে পারেন। ৩৪ দশমিক ২ শতাংশ মনে করেন তরুণ ও যুবক রাজনীতিবিদেরা দেশের ভালো পরিবর্তন আনতে পারেন।
সাহাব এনাম খান আরও বলেন, প্রবাসীদের ১৭ দশমিক ৬ শতাংশ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ধর্মীয় জ্ঞান বিনিময় (শেয়ার) করেন। আর ৪ শতাংশ প্রবাসী ধর্মীয় নানা জানা ও প্রচার প্রচারণার জন্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে পুলিশের বিশেষ শাখার প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ মহাপরিদর্শক মনিরুল ইসলাম বলেন, যেহেতু বাংলাদেশ ষষ্ঠ বড় জনশক্তি রপ্তানিকারক দেশ। তাই দেশের বাইরে প্রবাসীদের ছোট নেতিবাচক ঘটনাও দেশের সুনাম ক্ষুণ্ন করতে পারে এবং জনশক্তি রপ্তানিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
as as as as as as as as as as as as as as as as as as as as as as as as as as
অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ব্র্যাক অভিবাসন কর্মসূচির বিভাগের প্রধান শরিফুল ইসলাম হাসান। আরও উপস্থিত ছিলেন জনশক্তি উন্নয়ন ব্যুরোর উপপরিচালক জহুরা মনসুর ও কাউন্টার টেররিজম আন্ড ট্রান্সন্যাশনাল ত্রাইম ইউনিটের উপকমিশনার হাবিবুর নবী আনিসুর রশীদ প্রমুখ।