খুলনার সব রুটের বাস ও যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল বন্ধের পর এবার বন্ধ করা হয়েছে খুলনা নগরে প্রবেশের প্রধান দুই খেয়াঘাট। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই ঘাট দুটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
ওই খেয়াঘাট দুটি হলো রূপসা ও জেলখানা ঘাট। দুই খেয়াঘাটে ইঞ্জিনচালিত নৌকা (ছোট ট্রলার) দিয়ে পারাপার করা হয়। দুটি খেয়াঘাটই রূপসা উপজেলার সঙ্গে যুক্ত। তবে জেলখানা ঘাট দিয়ে রূপসা ছাড়াও তেরখাদা উপজেলাসহ নড়াইলের দুটি ও বাগেরহাটের একটি উপজেলায় যাওয়া যায়। অবশ্য মাঝি সমিতির নেতারা বলছেন, যাত্রী প্রতি ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে ২৪ ঘণ্টার ধর্মঘট করছেন তাঁরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় তাঁরা এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
মাঝিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ ও মাঝি সমিতির নেতারা আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন রাত ১২টার পর কোনো ট্রলার বা নৌকা চলবে না। কিন্তু রাত ৯টার দিকে রূপসা উপজেলার পাড় থেকে কিছু মানুষকে পার হতে দেখেই নৌকা চলাচল বন্ধ করার ঘোষণা দেন তাঁরা। রূপসার পার থেকে নগরের দিকে কোনো নৌকা আসতে দেওয়া হচ্ছে না।
রূপসা ঘাট মাঝি সংঘের সভাপতি মো. রেজা ব্যাপারী বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধির কারণে জনপ্রতি ভাড়া বাড়ানোর দাবি করা হয়েছে। ওই দাবি মেনে না নেওয়ায় তাঁরা ধর্মঘটের কর্মসূচি দিয়েছেন। তিনি বলেন, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়লেও তাঁদের ভাড়া বাড়ানো হয়নি। ভাড়া বাড়ানোর দাবিতে এর আগে সিটি করপোরেশনের মেয়র, খুলনা জেলা প্রশাসক, রূপসা উপজেলা চেয়ারম্যান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত আবেদন করা হয়েছিল। কিন্তু তাতে কেউ সাড়া দেননি।
বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশের মিডিয়া উপ-কমিটির আহ্বায়ক এহতেশামুল হক বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশে যাতে লোক কম হয়, সে জন্য আগে বাস, লঞ্চ বন্ধ করা হয়েছে। এবার দুই খেয়াঘাট বন্ধ করা হলো। তবে আমাদের নেতা-কর্মীরা পায়ে হেঁটে সমাবেশে চলে আসছেন। দরকার হলে সাঁতার কেটে আসবেন।’