রাষ্ট্রসঙ্ঘ সম্প্রতি সতর্ক করে বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির বিষয়গুলি মানুষ যদি এবার দ্রুত অনুধাবন না করতে পারে এবং অনুধাবন করে সেই মতো আচরণ না করে, তবে মানবজাতির জন্য অপেক্ষা করছে করছে ভয়াবহ দুর্যোগ, বিপর্যয়, ধ্বংস, ক্ষতি।
রাষ্ট্রসঙ্ঘ সম্প্রতি সতর্ক করে বলেছে, জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষতির বিষয়গুলি মানুষ যদি এবার দ্রুত অনুধাবন না করতে পারে এবং অনুধাবন করে সেই মতো আচরণ না করে, তবে মানবজাতির জন্য অপেক্ষা করছে করছে ভয়াবহ দুর্যোগ ও বিপর্যয়। আগামি দিনে যা এড়ানো কঠিন হয়ে যেতে পারে।
জাতিসঙ্ঘের দুর্যোগ ঝুঁকি প্রশমনবিষয়ক দপ্তরের (ইউএনডিআরআর) পক্ষ থেকে মঙ্গলবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই সতর্কবার্তা উচ্চারণ করা হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও দুর্যোগের ক্ষতির জেরে ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বের ৩ কোটি ৭৬ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যের মুখোমুখি হতে পারে বলে সংস্থাটির পক্ষ থেকে সতর্ক করা হয়েছে।
প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, শেষ দু’দশকে প্রতিবছর ৩৫০-৫০০টি মাঝারি মাপের দুর্যোগের শিকার হয়েছে বিশ্ববাসী। এটি আগের তিন দশকের গড় দুর্যোগের পাঁচ গুণ বেশি। জলবায়ু পরিবর্তন ও উষ্ণায়নই হল এইসব দুর্যোগের পিছনের কারণ। দুর্যোগের মধ্যে রয়েছে ভয়াবহ খরা, বন্যা, হিটওয়েভ। আগামি দিনগুলিতে এ ধরনের দুর্যোগ আরও বাড়তে পারে। চলতি দশক অর্থাৎ ২০২২ থেকে ২০২৯/৩০ সাল পর্যন্ত বিশ্বজুড়ে ঘটা এমন দুর্যোগের সংখ্যা দাঁড়াতে পারে বছরে ৬০০-র কাছাকাছি, প্রায় ৫৬০টি! এর আগের এই সংখ্যাটা ছিল বছরে ৪০০টি, সালটা ছিল ২০১৫ নাগাদ। আর তার আগের সংখ্যাটা তো আমাদের চমকে দেবে। ১৯৭০-২০০০ সাল সময়পর্বে বিশ্বে বছরজুড়ে প্রাকৃতিক দুর্যোগের সংখ্যাটা ছিল মাত্র ৯০-১০০!
অথচ এমন দুর্দিন যে এগিয়ে আসছে, তা নিয়ে মানুষ বিন্দুমাত্র সচেতন নয়। তাদের অবিমৃশ্যকারিতাই যে পরিবেশের বিপদ ডেকে আনছে, সেটুকু নিয়েও তারা ভাবিত নয়। মানুষের আচরণই তার ধ্বংস ডেকে আনছে—অনেকটা এমনই মন্তব্য করেছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ।