রংপুরে মেয়েকে কুপিয়ে হত্যার পর বাবা রশিদুল ইসলাম (৩৮) আত্মহত্যার চেষ্টা চালিয়েছেন। এ ঘটনায় আহত স্ত্রী-সন্তানকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্থানীয়রা।
রোববার সন্ধ্যায় পীরগাছা উপজেলার কৈকুড়ি ইউনিয়নের মংলাকুটি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জেরে রোববার সন্ধ্যায় কৃষক রশিদুল ইসলাম নিজ বাড়িতে বড় মেয়ে রাফিয়াকে (১১) কুপিয়ে হত্যা করে। এ সময় ৬ মাসের অন্তঃস্বত্তা স্ত্রী জেসমিন (২৭) ও ছোট মেয়ে সুমাইয়াকে (৩) হত্যা চেষ্টা করে নিজেও গলায় ছুরি মেরে আত্মহত্যার চেষ্টা চালায় রশিদুল।
প্রতিবেশীরা চিৎকার শুনে এগিয়ে এসে রশিদুলের বাড়িতে এসে মাটিতে রাফিয়ার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে রশিদুল, তার স্ত্রী জেসমিন ও ছোট মেয়ে সুমাইয়াকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা।
রংপুর জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (সি সার্কেল) আশরাফুজ্জামান পলাশ বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে হত্যাকাণ্ডের কারণ অনুসন্ধানসহ এ ঘটনায় ব্যবহৃত আলামত উদ্ধার করেছে। বর্তমানে রশিদুল, তার স্ত্রী ও মেয়ে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
পারিবারিক কলহের জেরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটেছে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। পরবর্তীতে অধিকতর তদন্ত করে হত্যাকাণ্ডের কারণ জানা যাবে বলে জানিয়েছেন এই পুলিশ কর্মকর্তা।