যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হওয়ার লড়াইয়ে সাবেক অর্থমন্ত্রী ঋষি সুনাককে এগিয়ে রাখছেন অনেকেই। এরই মধ্যে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার জন্য প্রয়োজনীয় সমর্থনও পেয়ে গেছেন। ‘দলীয় ঐক্যের স্বার্থে’ সেই সুনাককেই নেতৃত্বের লড়াই থেকে সরে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন বরিস জনসন।
লিজ ট্রাস মাত্র ছয় সপ্তাহ আগে কনজারভেটিভ পার্টি তথা টোরি দলের নেতৃত্বের দৌড়ে ঋষি সুনাককে হারিয়ে বরিসের স্থলাভিষিক্ত হন।
বর্তমান নিয়মে নেতৃত্বের লড়াইয়ে অংশ নিতে সোমবারের মধ্যে ১০০ জন পার্লামেন্ট সদস্যের (এমপি) সমর্থন পেতে হবে একেকজন প্রার্থীকে। দুই বা তিনজন এই সংখ্যক সমর্থন পেলে আগামী শুক্রবার চূড়ান্ত হবে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী। সুনাক এরই মধ্যে ১০০ এমপির সমর্থন পেয়ে গেছেন। যদি আর কেউ ১০০ এমপির সমর্থন আদায় করতে না পারেন তবে সুনাকই হবেন প্রধানমন্ত্রী।
এদিকে নিজেকে যোগ্য ঘোষণায় বরিস জনসন টোরি এমপিদের কাছে আরো বড় একটি বিষয় সামনে আনছেন। স্থানীয় সংবাদপত্র টেলিগ্রাফ জানায়, বরিস এমপিদের বলছেন, ‘পরবর্তী সাধারণ নির্বাচনে একমাত্র তিনিই দলকে পরাজয়ের হাত থেকে বাঁচাতে পারবেন’। শীর্ষ পদের লড়াইয়ে নামতে এরই মধ্যে লন্ডনে ফিরেছেন বরিস।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, বরিস এখন ঋষি সুনাকের সঙ্গে যোগাযোগ করে আবারও একসঙ্গে কাজ করার চেষ্টা করছেন। প্রধানমন্ত্রী পদপ্রার্থী হিসেবে ঋষি সুনাক ও বরিস জনসনের সঙ্গে উঠে আসছে হাউস অব কমন্সের নেতা পেনি মর্ডান্টের নামও। আলোচনায় ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস ও অর্থমন্ত্রী জেরেমি হান্টের নাম। কিন্তু দুজনেই নাম সরিয়ে নিয়েছেন। বেন ওয়ালেস প্রকাশ্যে বরিসকে সমর্থন দিচ্ছেন।
মূলত পার্টিগেট কেলেঙ্কারির জেরে নিজ এমপি ও মন্ত্রীদের চাপে তিন মাস আগে নিজের পদ ছাড়তে হয়েছিল বরিস জনসনকে। তবে এমপিদের একাংশের মধ্যে ও দলের বিভিন্ন অঞ্চলের সদস্যদের মধ্যে তাঁর জনপ্রিয়তা রয়েছে। তার পরও সবার চোখ মূলত ঋষি সুনাকের দিকে। করোনাকালীন ব্রিটেনের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলেছেন এই আর্থিক পরামর্শদাতা ও ব্যবসায়ী।