রাজধানীর মোহাম্মদপুর সরকারি শারীরিক শিক্ষা কলেজ মাঠে শনিবার অনুষ্ঠিত হলো চট্টগ্রাম সমিতি ঢাকার ঐতিহ্যবাহী মেজবান উৎসব। হোসেন গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান বাংলা কারের সৌজন্যে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে মেজবানের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়।
এ উপলক্ষ্যে পুরো মাঠে টানানো হয় শামিয়ানা। বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ৩৫ হাজার মানুষকে এবারের মেজবানে দাওয়াত দেওয়া হয়েছিল বলে জানান আয়োজক কমিটি।
আয়োজক সূত্রে জানা যায়, চট্টগ্রামের বিখ্যাত বাবুর্চির নেতৃত্বে ৩ দিন আগে থেকেই মেজবানের খানাপিনার আয়োজন শুরু হয়। খাবারের তালিকায় ছিল-গরুর মেজবানি ভুনা, সাদা ভাত, নেহারি ও ডাল। আর মাঠ প্রস্তুতির কাজ চলে ১০ দিন ধরে।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদানের স্বীকৃতি হিসাবে এ বছর অনুষ্ঠানে পাঁচ গুণীজনকে পদক দেওয়া হয়। তারা হলেন-চট্টগ্রাম সমিতিতে অসামান্য অবদানের জন্য আবু আলম চৌধুরী, কৃষি সাংবাদিকতায় শাইখ সিরাজ, শিক্ষা-সংস্কৃতি ও সমাজকল্যাণে এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী (মরণোত্তর), শিল্প, বাণিজ্য ও সমাজকল্যাণে আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু (মরণোত্তর) এবং সাহিত্যে আহমদ মমতাজ (মরণোত্তর)।
অনুষ্ঠানের মূল পর্বে সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন জামাল। সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন হিরোর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, দুদকের চেয়ারম্যান মঈনউদ্দিন আব্দুল্লাহ, রাজউক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা, বিচারপতি জেবিএম হাসান, সাবেক সংসদ-সদস্য লতিফ সিদ্দিকী, লায়লা সিদ্দিকী, হোসেন গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকির হোসেন, পরিচালক শবনম ডায়না প্রমুখ।
এবারের মেজবানে অন্যতম আকর্ষণ ছিল বাংলা কারে বিশাল মূল্য ছাড় এবং প্রথম ৫ ক্রেতার জন্য নগদ ২ লাখ টাকার উপহার। অনুষ্ঠানে বাংলা কারের ব্যবস্থাপনা পরিচালক জাকির হোসেন বলেন, ঐতিহ্যবাহী এ মেজবানে স্পন্সর হিসাবে অংশগ্রহণ করতে পেরে ভালো লেগেছে। দেশ-জাতির কল্যাণে আমরা আছি। খুব শিগগিরই আমরা চট্টগ্রামে বাংলা কারের সার্ভিস সেন্টারসহ শোরুম খুলব।
মেজবানের পর চট্টগ্রামের আঞ্চলিক সংগীতশিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শেষে অনুষ্ঠিত হয় ঐতিহ্যবাহী বলীখেলা।