সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সন্জীদা খাতুনই জাতীয় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের সভাপতির দায়িত্বে থাকছেন। তাঁর সঙ্গে নির্বাহী সভাপতি পুনর্নির্বাচিত হয়েছেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর আতিউর রহমান। তবে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পদে পরিবর্তন এসেছে, নতুন করে এ দায়িত্বে এসেছেন নৃত্যশিল্পী শর্মিলা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর কোষাধ্যক্ষ হয়েছেন নাসেহুন আমীন।
রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের সমাপনী দিন ছিল রোববার। এদিন সারা দেশের ৫০টি শাখা থেকে আসা প্রতিনিধিদের নিয়ে প্রতিনিধি সম্মেলন হয়। সেখান থেকেই পরিষদের ৬১ সদস্যের নতুন কমিটি নির্বাচিত হয়।
রবীন্দ্রসংগীত সম্মিলন পরিষদের নির্বাহী সভাপতি আতিউর রহমানের সভাপতিত্বে ৪০তম সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য দেন বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক বুলবুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শিক্ষাবিদ ও কথাসাহিত্যিক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যেভাবে অন্যায়ের প্রতিবাদ করেছেন, জীবনভর গানে-কবিতায় যেভাবে সংস্কৃতির মূল্যবোধ ও নানন্দিকতার চর্চা করে গেছেন, তা আমাদের জীবনে ধারণ করতে হবে।’
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম আরও বলেন, ‘সমাজের প্রতিবাদী চরিত্রদের জাগাতে হলে আমাদের সবার আগে জ্বালতে হবে শিক্ষা ও সংস্কৃতির আলো। শিক্ষার আলো গভীর অন্ধকার সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে আসার জন্য উজ্জ্বল রেখা দেখাবে। সংস্কৃতির আলো মানুষের মধ্যে সুন্দরের প্রতি ভালোবাসা ও নিষ্ঠা জাগাবে।’
পরিষদের বিদায়ী কমিটির সহসভাপতি সারওয়ার আলী বলেন, সমাজে নারী ও ধর্মবিদ্বেষী প্রচারণা কারও কারও মনোজগতে প্রভাব ফেলছে। তাতে সামাজিক অবক্ষয় প্রান্তরেখা অতিক্রম করছে। বিশ্বময় সংঘাতে অর্থনৈতিক সংকট আরও ঘনীভূত হচ্ছে। সমাজ ও সংস্কৃতির এমন বিপন্ন অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দ্বারস্থ হওয়া যায়।