দেশের নদ-নদীর ১০৯টি পয়েন্টের মধ্যে চারটি পয়েন্টে পানির স্তর স্থিতিশীল রয়েছে এবং ১৯টি পয়েন্টে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি কমেছে ২৯টি পয়েন্টে। বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র গতকাল সোমবার এ তথ্য জানিয়েছে।
এদিকে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে আজ মঙ্গলবারও দেশের আট বিভাগের বেশির ভাগ স্থানে বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে।
এ ছাড়া সিলেটসহ পাঁচ বিভাগে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের বরাত দিয়ে বাসসের খবরে বলা হয়, দেশের বিভিন্ন নদ-নদীর ৭৬টি পয়েন্টে পানির স্তর বেড়েছে এবং ২৯টি পয়েন্টে কমেছে। গতকাল এক বুলেটিনে বলা হয়, নদ-নদীর ১০৯টি পয়েন্টের মধ্যে চারটি পয়েন্টে পানির স্তর স্থিতিশীল রয়েছে এবং ১৯টি পয়েন্টে পানির স্তর বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
ব্রহ্মপুত্রের নুনখাওয়া, হাতিয়া, চিলমারী ও ফুলছড়ি, যমুনার বাহাদুরাবাদ, সারিয়াকান্দি, কাজিপুর, সিরাজগঞ্জ ও পোড়াবাড়ী, কুড়িগ্রামের ধরলা, গাইবান্ধার ঘাঘট, সুরমার কানাইঘাট, সিলেট ও সুনামগঞ্জ, কুশিয়ারার অমলশিদ, সচলা, খোয়াইয়ের বল্লা, পুরাতন সুরমার দিরাই এবং সোমেশ্বরীর কলমাকান্দার পানি বিপৎসীমার যথাক্রমে ২৩ সেমি, ১০২ সেমি, ৫২ সেমি, ৫১ সেমি, ৪৭ সেমি, ৫১ সেমি, ৪৩ সেমি, ৩৪ সেমি, ২০ সেমি, ৪৪ সেমি, ৩২ সেমি, ১১৫ সেমি, ৫৫ সেমি, ৪০ সেমি, ১৮৪ সেমি, ৬৩ সেমি, ১১৫ সেমি, ১০২ সেমি ও ৯২ সেমি ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে গতকাল সন্ধ্যায় পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে জানানো হয়, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় রয়েছে। আবহাওয়াবিদ মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘মঙ্গলবার রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের বেশির ভাগ জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ সহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে রংপুর, ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। ’ আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বৃষ্টিপাতের এই ধারা অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানান তিনি।