বরিশালের বাবুগঞ্জে স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা ও বাবা-ভাইকে কুপিয়ে জখম করেছেন এক যুবক। উপজেলার জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের ব্রাম্মনদিয়া গ্রামে বুধবার রাতে এই ঘটনা ঘটে।
অভিযুক্ত ওই যুবকের নাম নান্টু সিকদার (৩৫)। ঘটনার পর গ্রামবাসী নান্টুকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে। তিনি দীর্ঘদিন যাবত মানসিক রোগে আক্রান্ত বলে জানিয়েছে তার পরিবার। বাবুগঞ্জ থানার ওসি মাহবুবুর রহমান এসব তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
নিহত মাহমুদা বেগম (২৫) পাশ্ববর্তী শরিকল ইউনিয়নের কুড়িরচর গ্রামের খলিলুর রহমানের মেয়ে। ছয় বছর আগে নান্টু সিকদারের সঙ্গে মাহমুদা বেগমের বিয়ে হয়। তাদের সন্তান ছিল না। নান্টু সিকদারের দায়ের কোপে আহত তার বাবা চাঁন সিকদার (৭০) ও ভাই মিন্টু সিকদার (৪০) গৌরনদী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
ওসি মাহবুবুর রহমান নান্টু সিকদারে পরিবারের বরাত দিয়ে জানান, নান্টু দীর্ঘদিন যাবত মানসিক ভারসম্যহীন। বুধবার রাতে আকস্মিক দা দিয়ে স্ত্রী মাহমুদা বেগমকে কোপাতে শুরু করে। মাহমুদার আর্তচিৎকারে নান্টুর চাঁন সিকদার ও ভাই মিন্টু সিকদার এগিয়ে এলে তাদের ওপরও হামলা করে নান্টু। মাহমুদা বেগম ঘটনাস্থলেই মারা যান।
নান্টু সিকদারের আরেক ভাই পিন্টু সিকদার জানান, কিছুদিন আগে মাহমুদা বেগমকে গলাটিপে হত্যার চেষ্টা চালায় নান্টু। এরপর তিনি বাপের বাড়িতে চলে যায়। পরে নান্টু ফোন করলে বুধবার বিকালে তিনি স্বামীর বাড়িতে ফিরে আসেন। রাতেই তিনি মানসিক ভারসাম্যহীন স্বামীর নৃশংসতার শিকার হন।
জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য রব বেপারী জানান, খবর পেয়ে আগরপুর ক্যাম্প পুলিশ ও গ্রামবাসী ওই বাড়িতে ছুটে গেলে নান্টু সিকদার তাদের দিকেও দা নিয়ে তেড়ে আসে। একপর্যায়ে ধাওয়া দিলে নান্টু বাগানের ভেতরে দৌড়াতে থাকে। পরে পুলিশ ও গ্রামবাসী ধাওয়া করে নান্টুকে আটক করে।
রব বেপারী আরও জানান, নান্টু দীর্ঘদিন যাবত মানসিক রোগে ভূগছেন। তাকে পরিবার থেকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল।