আগামী ২০২৩ সালের জন্য ৫৪ লাখ ৬০ হাজার টন জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে। এর মধ্যে পরিশোধিত ও অপরিশোধিত দুই ধরনেরই তেল আছে। এই তেল আমদানি করা হবে সরকারি পর্যায়ে (জিটুজি)।
বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের (বিপিসি) এ-বিষয়ক প্রস্তাব আজ বুধবার অনুষ্ঠিত ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে অনুমোদন করেছে অর্থনৈতিক বিষয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি। অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন।
বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব রাহাত আনোয়ার সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। তিনি জানান, বিভিন্ন দেশের কাছ থেকে জিটুজি ভিত্তিতে ৩৮ লাখ ৬০ হাজার টন পরিশোধিত তেল আমদানি করা হবে। আর সৌদি আরবের আরামকো ও আবুধাবির এডিএনওসি থেকে ১৬ লাখ টন অপরিশোধিত জ্বালানি তেল আমদানি করা হবে সরাসরি ক্রয় পদ্ধতিতে (ডিপিএম)।
বিপিসির তথ্যানুযায়ী, বছরে দেশের জ্বালানি তেলের চাহিদা প্রায় ৬৫ লাখ টন। মোট চাহিদার ৯০ শতাংশই আমদানি করা হয়। আর দেশে জ্বালানি তেলের মোট বার্ষিক ব্যবহারের ৬৩ শতাংশই ব্যবহার হয় পরিবহন খাতে, বাকিটা সেচ, বিদ্যুৎ উৎপাদন ও শিল্প খাতে।
সূত্রগুলো জানায়, চলতি পঞ্জিকা বছরের জানুয়ারি-জুনের মধ্যে বিপিসি ৭ লাখ ৯১ হাজার টন অপরিশোধিত তেল এবং ২৭ লাখ ৯০ হাজার পরিশোধিত তেল আমদানি করেছে। পরিশোধিত তেলের মধ্যে আছে ডিজেল, জেট ফুয়েল, অকটেন ও ফার্নেস ওয়েল।