আলোকস্বল্পতার কারণে দুই দফায় খেলা বন্ধ রাখার পর অবশেষে চতুর্থ দিনের খেলা শেষ ঘোষণা করেছেন ম্যাচ অফিসিয়ালরা। আলোকস্বল্পতার দিনে হতাশাময় একটি দিন পার করেছে বাংলাদেশ। পুরো দিন জুড়ে বোলিং করলেও শ্রীলঙ্কার কোনো উইকেট তুলে নিতে পারেননি বাংলাদেশের বোলাররা।
এদিকে তাসকিন আহমেদ-মেহেদী হাসান মিরাজদের ব্যর্থতার দিনে দাপট দেখিয়েছেন শ্রীলঙ্কার দুই ব্যাটসম্যান করুনারত্নে এবং ধনাঞ্জয়া। এই দুজনের ৩২২ রানের অনবদ্য জুটিতে চতুর্থ দিন শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৫১২ রান। চতুর্থ দিন শেষে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান অপরাজিত রয়েছেন ১৫৪ রানে। আর ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেয়া করুনারত্নে অপরাজিত ২৩৪ রানে।
প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের করা ৫৪১ রানের জবাব দিতে নেমে ৩ উইকেটে ২২৯ রান নিয়ে চতুর্থ দিন ব্যাটিংয়ে নামেন শ্রীলঙ্কার দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান করুনারত্নে এবং ধনাঞ্জয়া। চতুর্থ দিনের প্রথম সেশন থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের বলে দেখেশুনে ব্যাটিং করছিলেন এই দুজন।
তৃতীয় দিন শেষে ৮৫ রানে অপরাজিত থাকা করুনারত্নে চতুর্থ দিনের প্রথম সেশনেই সেঞ্চুরি তুলে নেন। তাসকিন আহমেদের বলে দুই রান নিয়ে ২৪৭ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন এই লঙ্কান অধিনায়ক। যা তাঁর ক্যারিয়ারের ১১তম সেঞ্চুরি। তিন অঙ্কে পৌছাঁনোর পর দ্রুতগতিতে রান তুলতে থাকেন করুনারত্নে।
ফলে ৩১০ বলে দেড়শো রানে পৌঁছে যান ২৪৭ বলে সেঞ্চুরি তুলে নেয়া বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। অধিনায়কের মতো এদিন সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন আরেক ব্যাটসম্যান ধনাঞ্জয়া। তাসকিনকে পুল করে ১৫৩ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান। এটি তাঁর ক্যারিয়ারের সপ্তম টেস্ট সেঞ্চুরি।
চতুর্থ দিনের শেষ সেশনে ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন করুনারত্নে। যদিও সেঞ্চুরি পূরণ করার বলে আউট হয়ে যেতে পারতেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। তাসকিনের বলে কাট করার চেষ্টা করলে করুনারত্নের ব্যাটের কানায় লেগে বল পেছনে যায়।
লিটন দাস ঝাঁপিয়ে পড়লেও একটুর জন্য ক্যাচ নিতে পারেননি। ফলে বল সীমানা ছুঁতেই ডাবল সেঞ্চুরি পূর্ণ হয় তাঁর। ২১ চারের সাহায্যে ৩৮৭ বলে স্পর্শ করেন ক্যারিয়ারের প্রথশ ডাবল সেঞ্চুরির মাইলফলক। এদিন শ্রীলঙ্কার চতুর্থ অধিনায়ক হিসেবে টেস্টে ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন করুনারকেত্ন।
বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের ডাবল সেঞ্চুরি পাওয়ার দিনে দেড়শো ছুঁয়েছেন ধনাঞ্জয়া। মিড উইকেট দিয়ে তাইজুল ইসলামের বলে চার মেরে দেড়শো রান পূর্ণ করেন তিনি। ২৭৪ বলে দেড়শো রান করেন ১৫৩ বলে সেঞ্চুরি করা ধনাঞ্জয়া।
এদিন খুব বেশি সুযোগ তৈরি করতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা। দ্বিতীয় নতুন বলের প্রথম ওভারে তাসকিনের বলে ব্যাটের কানায় লেগে বোল্ড হতে হতে বেঁচে যান ধনাঞ্জয়া। আবু জায়েদ রাহির পরের ওভারে করুনারত্নের এলবিডব্লিউর রিভিউ নিয়ে সফল হয়নি বাংলাদেশ। এ ছাড়া শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানদের তেমন কোনো পরীক্ষা নিতে পারেনি বাংলাদেশের বোলাররা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৫৪১/৭ (ওভার ১৭৩) (তামিম ৯০, সাইফ ০, শান্ত ১৬৩, মুমিনুল ১২৭, মুশফিক ৫৮*, লিটন ৫০; ফার্নান্দো ৪/৯৬)
শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংস: ৫১২/৩ (১৪৯ ওভার) (থিরিমান্নে ৫৮, করুনারত্নে ২৩৪*; ম্যাথুস ২৫, ধনাঞ্জয়া ১৫৪*)