নরসিংদীসহ সারা দেশে শিক্ষার্থী হত্যা ও হয়রানির প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন নরসিংদীর বিভিন্ন স্কুল-কলেজের শিক্ষকরা। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় বিক্ষোভ মিছিলটি শেখ রাসেল পৌর মাঠ থেকে শুরু হয়। শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মিছিলটি নরসিংদী সরকারি কলেজের সামনে যায়। পরে সেখানে সমাবেশে বক্তব্য দেন শিক্ষকরা।
সমাবেশে নরসিংদী সরকারি কলেজ, বিজ্ঞান কলেজ, ন্যাশনাল কলেজ অব এডুকেশন, পলাশ রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজ, নরসিংদী মডেল কলেজ, স্কলাস্টিকা মডেল কলেজ, ব্রাহ্মন্দী বালিকা বিদ্যানিকেতনসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমপক্ষে ২শ’ শিক্ষক উপস্থিত থেকে শিক্ষার্থী হত্যা ও হয়রানির বিচার দাবি করেন।
এ সময় শিক্ষকরা প্ল্যাকার্ড হাতে স্লোগানে স্লোগানে হত্যাকারীদের বিচার দাবি করেন। রাজনৈতিক কোনও এজেন্ডা বাস্তবায়ন নয়, শিক্ষার্থী হত্যা, মারধরসহ নানাবিধ হয়রানির বিপরীতে আলোচনা করেন তারা।
পলাশ রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের অধ্যক্ষ আরিফ পাঠান তার বক্তব্যে বলেন, ‘নতুন করে যদি পুলিশের বুলেট কোনও শিক্ষার্থীর গায়ে লাগে, তবে পুলিশের সন্তানকে কোনও শিক্ষক আর পড়াবে না।’
নরসিংদী বিজ্ঞান কলেজের শিক্ষক নাজমুল আলম সোহাগ বলেন, ‘সময় এসেছে রুখে দাঁড়াবার। আমার ছাত্রের বুকে যেন আর একটা গুলিও না চলে৷ যদি গুলি চলে তবে সরকারকে জবাব দিতে হবে।’
ইমপিরিয়াল কলেজের শিক্ষক মইনুল ইসলাম মিরু বলেন, ‘এই দেশ কারও ব্যক্তিগত সম্পত্তি নয়। পুলিশ শিক্ষার্থীদের হয়রানি করছে নিয়মিত। রাস্তায় ফোন চেক করা হচ্ছে কোন অধিকারে?’
বেলাব রাবেয়া মহাবিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধান জহিরুল ইসলাম মৃধা বলেন, ‘আমার সন্তানদের নিরাপত্তা চাই৷আর কোনও মায়ের বুক খালি হলে সরকার ও প্রশাসনকে শিক্ষক সমাজের মুখোমুখি হতে হবে।’
নরসিংদী সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগে সহকারী অধ্যাপক নাদিরা ইয়াসমিন বলেন, ‘শিক্ষকদের আর ঘরে বসে থাকার সময় নেই। সময় এসেছে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মাঠে নেমে আন্দোলন করার। এভাবে একটা দেশ চলতে পারে না।’