নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ার ফ্যাক্টরিতে লাগা আগুন এখনও জ্বলছে। কারখানার ভেতর থেকে ১৪ জনকে উদ্ধার করেছে ফায়ার সার্ভিস। এখনও শতাধিক নিখোঁজ রয়েছেন দাবি করেছেন স্থানীয়রা।
সোমবার (২৫ মার্চ) দুপুর পর্যন্ত কারখানাটিতে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করছে। রবিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১০টায় এ আগুন লাগে।
ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (প্রশিক্ষণ, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) ও লেফটেন্যান্ট কর্নেল রেজাউল করিম বলেন, ‘অনেকে নিখোঁজ রয়েছেন এমন দাবি করছেন তাদের স্বজনরা। এখন পর্যন্ত এ তালিকায় শতাধিক নাম রয়েছে। তবে এই তালিকা যাচাই-বাছাইয়ের সুযোগ নেই। ধারণা করা হচ্ছে, নিখোঁজরা কারখানায় ঢুকে মালামাল সরাতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন।’
ছেলে সজীবকে খুঁজতে এসে কান্নাজড়িত কণ্ঠে কুলসুম নামে এক নারী বলেন, ‘আমার ছেলেকে খুঁজে পাচ্ছি না। সে গতকাল এখানে এসেছিল।’ তার মতো আরও অনেকে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে নিখোঁজ স্বজনদের নাম তালিকায় লেখাচ্ছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সাবেক বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং গাজী গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম দস্তগীর গাজীকে গ্রেফতারের পর থেকে কারখানাটিতে লুটপাট শুরু করে দুর্বৃত্তরা। রাতে আগুন লাগার সময়ও লুট করতে গিয়ে অনেকে ভেতরে আটকা পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা তাদের উদ্ধার করে।
সকালে ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, ‘রাতে গাজী টায়ার কারখানায় আগুন লাগার খবর পেয়ে আমরা কাজ শুরু করি। কারখানার কাঁচামাল রাবার প্লাস্টিক হওয়ায় আগুন ফ্যাক্টরির চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। আগুন লাগার খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের ১২টি ইউনিট কাজ করছে। এখান থেকে ১৪ জনকে উদ্ধার করতে পেরেছি। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। তারা কেউ এই কারখানার শ্রমিক বা কর্মচারী নয়। তারা খুব সম্ভবত এখানকার মালামাল সরিয়ে নেওয়ার জন্য এসেছিলেন। আমরা এখনও নিখোঁজের সংবাদ পাইনি। তবে এই আগুন নাশকতা কিনা তা তদন্ত করে বলা সম্ভব হবে।’