চট্টগ্রাম বন্দরে ‘ফেব্রিক্স’ (সুতা ও কাপড়) ঘোষণা দিয়ে আনা করা হয়েছে এক কন্টেইনার বিদেশি মদ। মিথ্যা ঘোষণায় আনা এই এক চালানেই ১২ কোটি টাকার রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করেছিল আমদানিকারক। আটক কন্টেইনারে এক হাজার ১১৪ কার্টন বিদেশি বিভিন্ন ব্রান্ডের ১১ হাজার ৬৭৬ লিটার মদ পাওয়া গেছে।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তেতে অভিযান চালিয়ে কন্টেইনার ভর্তি মদের চালানটি জব্দ করেছে কাস্টমসের অডিট ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) টিম। চট্টগ্রাম বন্দরের এনসিটি ইয়ার্ডে ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের একটি কন্টেইনার থেকে এ মদের চালান আটক করা হয়। এমনটি জানিয়েছেন চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ।
মিথ্যা ঘোষণায় মাদকের চালানটি আমদানি করছে নারায়ণগঞ্জ ইপিজেডের প্রতিষ্ঠান সুপ্রিম স্মার্ট ওয়্যার লিমিটেড।
চালানটি খালাসের দায়িত্বে ছিলেন সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হাফেজ ট্রেডিং প্রাইভেট লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটির অফিস চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ এক্সেস রোডের গোলবাগ আবাসিক এলাকায়। চীন থেকে ফেব্রিক্স ঘোষণায় ২০ ফুট দৈর্ঘ্যের এক কন্টেইনার পণ্য আমদানি করা হয়।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, পণ্য চালানটি খালাসের জন্য সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট হাফেজ ট্রেডিং প্রাইভেট লিমিটেড কাস্টমস হাউসে বিল অব এন্ট্রি (নং-সি-৩১৭৪১০) দাখিল করেন। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের কমিশনার থেকে গোপন সংবাদ পেয়ে রিস্ক ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে এ দফতরের এআইআর শাখা রফতনিকারকের ওয়েবসাইট, তৈরি দেশ, আমদানিকারকের ব্যবসার ধরন ও ঠিকানা, পণ্যের বর্ণনা প্রভৃতি বিশ্লেষণ করে পণ্যচালানটিতে মিথ্যা ঘোষণায় মদের চালান থাকার বিষয়টি প্রাথমিক ধারণা করা হয়।
তিনি আরও বলেন, পরে কাস্টমসের এআইআর টিম পণ্যচালানটি বন্দর কর্তৃপক্ষের সহায়তায় অভ্যন্তরে পণ্য পরীক্ষণ শুরু করে। কন্টেইনার খোলার পর এক হাজার ১১৪ কার্টন কায়িক পরীক্ষা করে সব কার্টনেই বিদেশি বিভিন্ন ব্রান্ডের ১১ হাজার ৬৭৬ লিটার মদ পাওয়া গেছে। আটক করা পণ্য চালানের আনুমানিক শুল্কায়নযোগ্য মূল্য প্রায় দুই কোটি টাকা এবং এর বিপরীতে জড়িত রাজস্বের পরিমাণ প্রায় ১২ কোটি টাকা। অর্থাৎ চালানটিতে মিথ্যা ঘোষণায় প্রায় ১২ কোটি টাকার সরকারি রাজস্ব ফাঁকির দেওয়ার অপচেষ্টা কাস্টমস হাউসের এআইআর শাখা রোধ করেছে।