অতি বৃষ্টিতে মোংলায় ডুবেছে বাড়িঘর, তলিয়েছে সাত শতাধিক চিংড়িঘের
বাংলাদেশ

অতি বৃষ্টিতে মোংলায় ডুবেছে বাড়িঘর, তলিয়েছে সাত শতাধিক চিংড়িঘের

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে আজ রবিবারও মোংলা সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত বহাল রয়েছে। এর ফলে বিঘ্নিত হচ্ছে বন্দরে অবস্থানরত সকল দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের পণ্য বোঝাই, খালাস ও পরিবহনের কাজ। তবে সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে সারবাহী কয়েকটি জাহাজের পণ্য খালাস, জানিয়েছে বন্দরের হারবার বিভাগ।

এদিকে, তিন দিনের টানা বৃষ্টিপাতে জলাবদ্ধতা মোংলা শহর ও শহরতলিজুড়ে একধরনের বন্যা পরিস্থিতিতে রূপ নিয়েছে। পানিতে তলিয়ে গেছে রাস্তাঘাট, ঘরবাড়ি। ফলে পৌর শহর ছাড়াও উপজেলার বেশির ভাগ এলাকার লোকজন পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। চারদিকেই পানি, এমতাবস্থায় ঘরে থাকা ও বের হওয়া নিয়েও চরম ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ।

পৌর বাসিন্দারা বলছেন, বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে পুকুর, বাড়িঘর ও রাস্তাঘাট। এতে ঘরে থাকাটা যেমন দায় হয়ে পড়েছে তেমনি বাইর বের হওয়াটাও কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে। বাসিন্দাদের কেউ কেউ বলছেন, টানা বৃষ্টির পানি জমে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা যেন বন্যার আকার ধারণ করেছে। তারা আরও বলেন, ‘মূলত পানি নামার কোনও ব্যবস্থা না থাকায় বৃষ্টি হলেই আমাদের ডুবে থাকতে হচ্ছে।’

অপরদিকে অতি বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে উপজেলার ৬টি ইউনিয়নের প্রায় সাত শতাধিকেরও বেশি চিংড়িঘের। মাছ বেরিয়ে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন চিংড়িচাষিরা।

উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অঞ্জন বিশ্বাস বলেন, ‘এ বৃষ্টিতে বেশি ক্ষতি হয়েছে উপজেলার চিলা ইউনিয়নের চিলা ও জয়মনি এবং বুড়িরডাঙ্গা ইউনিয়নের সানবান্ধা ও বিদ্যারবাহন এলাকায়। প্রাথমিক খোঁজখবরে বিভিন্ন এলাকার সাত শতাধিক চিংড়িঘের তলিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে এর সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।’

মোংলা আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ মো. হারুন অর রশিদ বলেন, ‘গত তিন দিনে মোংলায় ২৪০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। নিম্নচাপটি ঝড়ে রূপ নেওয়ার সম্ভাবনা নেই। বৃষ্টিপাত হয়ে দুর্বল হলেই বিলীন হয়ে যাবে।’ তবে আগামী দুই-একদিনের মধ্যে বৃষ্টি কমে আবহাওয়া অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে জানান তিনি।

Source link

Related posts

ঈদে যানজট কমাতে এক সড়কেই থাকবে ৪০০ পুলিশ 

News Desk

রাজশাহী ২৪ ঘণ্টায় আরও ১৮ জনের মৃত্যু

News Desk

সামনে এল আমির ও কিরণের ডিভোর্সের কারণ

News Desk

Leave a Comment