ভারতের করোনা পরিস্থিতি দিন দিন খারাপের দিকেই যাচ্ছে। প্রতিদিন আক্রান্ত হচ্ছে লক্ষ লক্ষ মানুষ, প্রাণ হারানোর সংখ্যাটাও বেড়ে চলেছে। এমন অবস্থাতেও চলছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল)। যে কারণে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে সংশ্লিষ্ট সবাইকে।
আয়োজকদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, করোনার কঠিন সময়ে আইপিএলের মাধ্যমে কয়েক ঘণ্টার জন্য মানুষের মুখে হাসি ফোটাচ্ছেন তারা। যা হয়তো বয়ে আনবে মানসিক প্রশান্তি। শুধু এই মানসিক শান্তিই নয়, এখন আইপিএল থেকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার আর্থিক সহায়তাও পাচ্ছে ভারত।
ইতোমধ্যে দিয়েছেন ১ কোটি রুপি অনুদান। এবার সাহায্যের হাত বাড়ালেন শিখর ধাওয়ানও। শুক্রবার অক্সিজেন কেনার জন্য মিশন অক্সিজেন ফান্ডে ২০ লাখ রুপি অনুদানের ঘোষণা দিয়েছেন তিনি। এছাড়া চলতি আইপিএলে যত ব্যক্তগত পুরস্কার পাবেন তাও দান করে দেবেন ফান্ডে। এরই মধ্যে দুইবার ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন ধাওয়ান।
টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘আমরা এখন অনিশ্চিত সময়ের মধ্যে আছি। এখন একে অপরকে সাহায্যের জন্য সম্ভাব্য সবকিছু করা উচিত আমাদের। বছরের পর বছর ধরে আমি আপনাদের কাছ থেকে নিঃশর্ত ভালোবাসা এবং অকুণ্ঠ সমর্থন পেয়েছি।’ ‘যার ফলে আমি সত্যিই কৃতজ্ঞ। এখন আমার পালা, দেশের মানুষের জন্য কিছু করার। আমি নগদ ২০ লাখ টাকার অনুদান দিবো। পাশাপাশি এবারের আইপিএল থেকে পারফরম্যান্সের ভিত্তিতে যত আয় করব, সব অর্থ মিশন অক্সিজেন হেল্প ফান্ডে দান করব।’
‘আমি সম্মুখসারীর সকল যোদ্ধাদের ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাতে চাই। আমরা আপনাদের কাছে আজীবন ঋণী। আমি সবাইকে আহ্বান জানাচ্ছি, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন, মাস্ক পরুন, স্যানিটাইজ করুন এবং সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখুন। দয়া করে প্রয়োজন ছাড়া কেউ বের হবেন না। ঐক্যবদ্ধ থেকে আমরা এ লড়াইয়ে জিতব।’ ধাওয়ান ছাড়াও সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন রাজস্থান রয়্যালসেরজয়দেব উনাদকাত। আইপিএল পারিশ্রমিকের ১০ শতাংশ (প্রায় ৮৪ লাখ টাকা) দান করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি। এছাড়া পাঞ্জাব কিংসের ক্যারিবীয় ব্যাটসম্যান নিকোলাস পুরানও নিজের আইপিএল পারিশ্রমিকের একটা অংশ অনুদান হিসেবে দেয়ার কথা জানিয়েছেন।
আইপিএল থেকে সবার আগে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন প্যাট কামিনস। তিনি পিএম কেয়ার ফান্ডে দান করেন ৫০ হাজার ডলার। কামিনসের স্বদেশি সাবেক পেসার ব্রেট লি দান করেন ১টি বিটকয়েন, যার বাজার মূল্য প্রায় ৫৭ লাখ রুপি।