সাভারের আশুলিয়ার টঙ্গাবাড়ি এলাকায় ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শাহাবুদ্দিন মাদবরের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত ২টার দিকে এই হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। যদিও কারা এই হামলা চালিয়েছে সেটি এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আওয়ামী লীগের অন্য নেতাকর্মীদের মতো এই নেতাও আত্মগোপনে চলে যান।
এই আওয়ামী লীগ নেতার স্ত্রী শিরিন আখতারের দাবি, পুলিশ পরিচয়ে হামলাটি চালানো হয়। এ সময় হামলাকারীরা বাড়িতে ঢুকে তিন তলা ভবনের সব শৌচাগার থেকে শুরু করে সব কক্ষে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি গ্যারেজে থাকা তিনটি প্রাইভেট কার, দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করার পাশাপাশি একটি মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেয়।
তিনি বলেন, সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা যায়, রাত ২টার দিকে কয়েকজন পুলিশ সদস্য বাড়ির সামনে এসে ঘুরে যায়। এরপর ১০/১৫ মিনিট পর রাত সোয়া ২টার দিকে ৩০/৪০ জন লোক মাইকিং করতে করতে বাড়ির গেট ভেঙে বাড়িতে প্রবেশ করে ভাঙচুর শুরু করে। এসময় হামলাকারীরা মাইকে ‘চেয়ারম্যানকে ধরতে আসছি, আমরা পুলিশ’, এই ধরনের কথাবার্তা বলতে থাকে। বাড়ির তৃতীয় তলায় আমি থাকি। বাকিগুলোতে আমার দেবরদের পরিবাররা থাকে। মোট চারটি পরিবার আমরা এই তিন তলা বাড়িতে বসবাস করি। হামলাকারীরা বাড়ির প্রতিটি কক্ষে ভাঙচুর চালায়, এমনকি শৌচাগারের কমোডও ভেঙে ফেলা হয়। এ ছাড়াও গ্যারেজে থাকা তিনটি প্রাইভেটকার ও দুটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করা হয়। আগুন দেওয়া হয় একটি মোটরসাইকেলে।’
আশুলিয়া থানার ওসি নুর আলম সিদ্দিক বলেন, ‘হামলার বিষয়টি আমরাও শুনেছি, যদিও কোনও লিখিত অভিযোগ পাইনি। এ ছাড়া পুলিশ পরিচয়ে হামলার অভিযোগ ভিত্তিহীন। পুলিশকে দেখার কথা যেটি বলা হচ্ছে, হতে পারে টহল পুলিশ থাকে, তাদের কাউকে দেখে থাকতে পারে। সেটি তো নিয়মিত টহলের অংশ।’