মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়াঘাট থেকে এনায়েতপুরী ও শাহ পরান নামের আরো দুটি ফেরি বাংলাবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে গেছে। এ নিয়ে একইদিন নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও মোট তিনটি ফেরি শিমুলিয়া ঘাট থেকে ছেড়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, ফেরিগুলোতে ১২ হাজারের মতো যাত্রী পার হয়েছেন।
শনিবার (৮ মে) দুপুর ১২টায় ৩নং ফেরিঘাট থেকে ফেরি এনায়েতপুরী ও ২নং ফেরিঘাট থেকে শাহ পরান বাংলাবাজারের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যায়। এর আগে সকাল ৯টায় ৩নং ফেরিঘাট থেকে ছেড়ে যায় ফেরি কুঞ্জলতা।
এদিকে ঘাট থেকে ছেড়ে যাওয়া এসব ফেরিতে ছিল যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। মানা হয়নি কোনো স্বাস্থ্যবিধি। সকাল থেকে যাত্রীদের অত্যধিক চাপে ফেরিগুলো ছাড়তে বাধ্য হয় শিমুলিয়াঘাট কর্তৃপক্ষ। তবে এসব ফেরি ছেড়ে যাওয়ায় দুপুর থেকে ঘাটে চাপ কমেছে।
শিমুলিয়া ঘাটের সহকারী ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) ফয়সাল আহমেদ জানান, জরুর পণ্যবাহী ও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে তিনটি ফেরি ছেড়ে যায়। এসব ফেরিতে অ্যাম্বুলেন্সেসহ ১২ হাজার যাত্রী নদী পার হয়েছে।
মাওয়া ট্রাফিক পুলিশের ইনচার্জ হেলাল উদ্দিন জানান, বর্তমানে পারাপারের অপেক্ষায় ঘাটে পণ্যবাহী সাড়ে চারশর মতো গাড়ি আছে। সকাল থেকে ঘাটে আসা ১৪টি লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে ১৩টি পার করা হয়েছে। ঘাটে বর্তমানে হাজার খানেক যাত্রী অবস্থান করছেন।
প্রসঙ্গত, মধ্যরাত থেকে ফেরি বন্ধের সিদ্ধান্তের পরেও আজ শনিবার মুন্সিগঞ্জে শিমুলিয়া ফেরিঘাটে দক্ষিবঙ্গমুখী যাত্রীদের উপচেপড়া ঢল নামে। ভোর থেকে বিভিন্ন যানবাহনে করে ঘাট এলাকায় উপস্থিত হওয়ার চেষ্টা করছে থাকে হাজার হাজার যাত্রীরা। অত্যাদিক যাত্রী চাপে হিমশিম খায় কর্তৃপক্ষ।
তবে ঘাট এলাকায় কোনো যানবাহন প্রবেশ করতে দেয়নি পুলিশ। কয়েক কিলোমিটার হেটেই ঘাটে উপস্থিত হয় যাত্রীরা।