নিজেদের সম্পত্তি বানিয়ে ফেলা সিরি ‘আ’ হাতছাড়া হয়েছে এই মৌসুমে। জুভেন্টাসের চ্যাম্পয়িনস লিগ ভাগ্যও ঝুলছে সুতোয়। নিজেদের হারিয়ে খোঁজা এক মৌসুমে দলটি অবশেষে বলার মতো কোনো সাফল্য পেল। আজ সাসসুয়োলোর মাঠ চিত্তা দেল ত্রিকোলোরে আতালান্তাকে ২–১ গোলে হারিয়ে ১৪তম বারের মতো কোপা ইতালিয়া বা ইতালিয়ান কাপ জিতেছে আন্দ্রেয়া পিরলোর দল। ৪২তম জন্মদিনে বড় উপহারই পেলেন পিরলো। সম্ভাব্য বিদায় উপহার পেলেন জিয়ানলুইজি বুফনও। হয়তো এই ম্যাচটিই জুভের জার্সি গায়ে শেষ ম্যাচ হয়ে থাকতে পারে অভিজ্ঞ গোলরক্ষকের।
ম্যাচের প্রথম সুযোগটা পেয়েছিল আতালান্তাই। প্রথম ৫ মিনিটের মধ্যেরই দুবার এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিল দলটি। বিরতির পর অবশ্য আতালান্তার তেমন সুবিধা করতে পারেনি। রোনালদোর ব্যাকহিল থেকে পাওয়া বলটাকে কিয়েসা পোস্টে না লাগালে ব্যবধানটা আরও বড় করতে পারত জুভেন্টাস।
শেষ বাঁশি বাজার পর বাধভাঙা উল্লাসে মাতেন জুভেন্টাসের খেলোয়াড়েরা। জুভেন্টাসের জয়ের অন্যতম নায়ক কিয়েসা রাই স্পোর্তকে বলেন করোনায় হাসতে ভুলে যাওয়াদের মুখে একটু হাসি ফিরিয়ে আনতে পারাটাই তাঁদের বড় পাওনা, ‘সবার জন্যই দারুণ ব্যাপার। বিশেষ করে গত কয়েক মাসে যারা কষ্টে ছিলেন। আমরা খেলোয়াড়েরা তো সুরক্ষিতই ছিলাম কিন্তু কত মানুষকে কষ্ট করতে হয়েছে, এখনো করতে হচ্ছে।’