ফিলিস্তিনিদের ওপর দখলদার ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলায় সমর্থন জানিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, ব্রাজিলসহ ২৫ দেশ। এজন্য দেশগুলোকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু।
গত রোববার (১৬ মে) নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে এক বার্তায় দেশগুলোর পতাকা পোস্ট করে তাদের প্রতি ধন্যবাদ জানান ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী।
যেসব দেশের সমর্থন পেয়েছেন বলে নেতানিয়াহু তার বার্তায় উল্লেখ করেছেন, সেগুলো হলো- যুক্তরাষ্ট্র, আলবেনিয়া, অস্ট্রেলিয়া, অস্ট্রিয়া, বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভেনিয়া, ব্রাজিল, বুলগেরিয়া, কানাডা, কলম্বিয়া, সাইপ্রাস, চেক রিপাবলিক, জর্জিয়া, জার্মানি, গুয়াতেমালা, হন্ডুরাস, হাঙ্গেরি, ইতালি, লিথুনিয়া, মলদোভা, নেদারল্যান্ড, মেসিডোনিয়া, প্যারাগুয়ে, স্লোভেনিয়া, ইউক্রেন এবং উরুগুয়ে।
বার্তায় নেতানিয়াহু বলেন, ‘ইসরায়েলের পাশে জোরদার অবস্থান এবং সন্ত্রাসী হামলার বিরুদ্ধে আমাদের আত্মরক্ষার অধিকারকে সমর্থনের জন্য আপনাদের ধন্যবাদ।’
অবশ্য টুইটার-ফেসবুকে ভারতীয়দের অনেকে ইসরায়েলের পাশে থাকার কথা জানিয়ে ‘ইন্ডিয়া স্ট্যান্ড উইথ ইসরায়েল’ হ্যাশট্যাগ পোস্ট দিলেও নেতানিয়াহুর এই বার্তায় ভারতের পতাকা দেখা যায়নি। এ নিয়ে অনেক ভারতীয় হতাশা প্রকাশ করেছেন।
গত ১০ মে থেকে সোমবার (১৭ মে) পর্যন্ত ফিলিস্তিনের গাজাসহ বিভিন্ন এলাকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় অন্তত ১৯৮ জন নিহত হয়েছেন। যাদের মধ্যে ৫৮ জনই শিশু। এর মধ্যে রোববারই (১৬ মে) ইসরায়েলি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ৪২ ফিলিস্তিনির প্রাণ ঝরেছে। আহত হয়ে চিকিৎসাধীন রয়েছেন সহস্রাধিক ফিলিস্তিনি।
পশ্চিম তীর ও শেখ জাররাহ এলাকায় ইহুদি বসতি স্থাপনে ফিলিস্তিনিদের উচ্ছেদ ও মুসল্লিদের আল আকসা মসজিদে নামাজ পড়তে বাধা দেয়াকে কেন্দ্র করে রোজার শুরু থেকেই সেখানে উত্তেজনা ছড়াচ্ছিল। ৭ মে থেকে ফিলিস্তিনিরা এর প্রতিবাদে নামলে তাদের ওপর চড়াও হয় ইসরায়েলি বাহিনী। ১০ মে সন্ধ্যা পর্যন্ত তাদের হামলায় কয়েকশ’ ফিলিস্তিনি আহত হন। এর জবাবে গাজা উপত্যকা থেকে মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস রকেট হামলা চালালে ১০ মে রাত থেকে নিরীহ ফিলিস্তিনিদের বসতিতে বিমান হামলা চালাতে শুরু করে ইসরায়েল।
মুসলিম দেশগুলো ইসরায়েলি এই আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে এলেও জাতিসংঘকে এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নিতে দেখা যাচ্ছে না।