ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ মোকাবিলায় সাতক্ষীরা জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শুক্রবার (২১ মে) বিকেল ৩টায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এস এম মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল প্লাটফর্ম জুম মিটিংয়ে যুক্ত হয়ে বক্তব্য রাখেন সাতক্ষীরা-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মীর মোস্তাক আহমেদ রবি, সাতক্ষীরা-১ আসনের সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মুস্তফা লুৎফুল্লাহ।
সভায় আসন্ন ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’ মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা এবং দুর্যোগের আগে, দুর্যোগের সময় ও দুর্যোগ পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হয়।সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক এসএমএস মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আশঙ্কা করা হচ্ছে ঘূর্ণিঝড় যশ সাতক্ষীরা, খুলনা উপকূলে মে মাসের শেষ সপ্তাহে আঘাত হানতে পারে। সে ধরনের পূর্বাভাস দেখে আমরা আগে থেকেই প্রস্তুতি সভা করেছি। এটি আমাদের আগাম প্রস্তুতি। আমরা প্রস্তুত আছি কি-না সেটি বোঝার জন্য।’তিনি আরও বলেন, ‘সাতক্ষীরা জেলায় ১৪৫টি ঘূর্ণিঝড় আশয়কেন্দ্র আছে। এছাড়া আমাদের ১৫শ স্কুল-কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ১৮৩ মেট্রিক টন খাদ্যশস্য মজুত আছে। দুই কোটি ১৫ লাখ টাকার নগদ অর্থ সহায়তার জন্য রয়েছে।’‘পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট ও ওয়াটার ট্যাংক রয়েছে। পুলিশ, আনসার, বিজিবি ও স্বাস্থ্য বিভাগ প্রস্তুত আছে। জেলা প্রশাসন সবসময় সজাগ থেকে বরাবরের মতো দুর্যোগ মোকাবিলায় সক্ষম হবে’Ñযোগ করেন সাতক্ষীরা ডিসি।
এসময় সাতক্ষীরা সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়াত, পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতি, এনএসআই সাতক্ষীরার উপপরিচালক জাকির হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) সজিব খান, সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-১ এর নির্বাহী প্রকৌশলী আবুল খায়ের, পানি উন্নয়ন বোর্ড বিভাগ-২ এর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাশেদুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বঙ্গোপসাগরে তৈরি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড়ের নাম দেয়া হয়েছে ‘যশ’। ওমান এই নামকরণ করেছে। প্রাথমিকভাবে সুন্দরবনে আছড়ে পড়তে পারে এই ঘূর্ণিঝড়। তারপর দিক বদলে ঢুকতে পারে বাংলাদেশে।