বাংলাদেশ সফরে আছে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট দল। ২৩ মে তামিম ইকবালদের সঙ্গে ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচ। তার আগে লঙ্কান শিবিরে স্বস্তি নেই। হতাশা সঙ্গী করেই অবশ্য ঢাকায় পা রেখেছে তারা। বেতনে কোপ পড়ায় মাঠে নামার শক্তিটাই যেন হারিয়ে যাচ্ছে তাদের। বাংলাদেশ সিরিজটা হচ্ছে ঠিকই কিন্তু এরপরই ভারতের বিপক্ষে খেলতে নারাজ তারা।
শ্রীলঙ্কান বোর্ডের চুক্তিতে সই দিতে নারাজ শ্রীলঙ্কার সিনিয়র ক্রিকেটাররা। যার মধ্যে আছেন টেস্ট অধিনায়ক দিমুথ করুনারত্নে ছাড়াও দীনেশ চান্ডিমাল, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ।
বোর্ড যখন জানাল নতুন চুক্তিতে বেতন কমবে প্রায় ৪০ শতাংশ, তখনই নড়েচড়ে বসছেন সিনিয়ররা। এনিয়ে তারা কথা বলেছেন আইনজীবীদের সঙ্গে। ক্রিকেটারদের আইনজীবীরা এনিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। এটা দ্রুত সমাধান না করতে পারলে ভারতের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে বিপদে পড়তে পারে শ্রীলঙ্কা। সিনিয়ররা বয়কট করতে পারেন সিরিজ।
সামনেই ভারতের বিপক্ষে তিনটি ওয়ানডে ম্যাচ ও সমান সংখ্যক টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলার কথা শ্রীলঙ্কার। এ অবস্থায় চুক্তি নিয়ে তৈরি হলো জটিলতা। ম্যাথিউসদের আইনজীবীরা জানাচ্ছেন-অন্য দেশের ক্রিকেটারদের থেকে প্রায় ১ তৃতীয়াংশ কম অর্থ দেওয়া হচ্ছে শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটারদের।
নতুন চুক্তিতে ৬টি ভাগে ভাগ করা হয়েছে দেশটির ক্রিকেটারদের। ‘এ’ বিভাগে ৬ জন ক্রিকেটার। সবচেয়ে বেশি অর্থ পাবেন তারা। ৫১ লক্ষ থেকে প্রায় ৭৩ লক্ষ রুপি পেতে পারেন তারা। ধনঞ্জয় ডি সিলভা প্রায় ৭৩ লক্ষ রুপি পাবেন। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের চুক্তিতে গ্রেড সি সব থেকে কম টাকা পান যে ক্রিকেটাররা, তাদের আয় প্রতি বছরে ১ কোটি রুপি!
এনিয়ে অবশ্য শ্রীলঙ্কার বোর্ডে বেশি ভাবতে রাজি নয়। উপদেষ্টা কমিটির প্রধান অরবিন্দ ডি সিলভা স্পষ্ট জানিয়ে রেখেছেন, ‘ক্রিকেটারদের যা পারফরম্যান্স- তার ভিত্তিতে আমরা এমন কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছি।’ বোর্ড জানিয়ে দিয়েছে ৩ জুনের মধ্যে চুক্তিতে সই করতে হবে ক্রিকেটারদের। সন্দেহ নেই এমন সিদ্ধান্তে পরিস্থিতি জটিল হলো আরও। মুখোমুখি অবস্থানে বোর্ড ও ক্রিকেটাররা।