ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের জারি করা নতুন ডিজিটাল আইনের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। তাদের অভিযোগ, নতুন আইন মেনে নিলে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত গোপনীয়তা লঙ্ঘন করতে হবে।
বুধবার থেকে ভারতে নতুন ডিজিটাল আইন কার্যকর হচ্ছে। এর আগে ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ ও টুইটারকে নতুন ডিজিটাল আইন মেনে নেওয়ার জন্য তিন মাসের সময় বেঁধে দেয় দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু তিন মাসের সময় পার হওয়ার পর দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করে হোয়াটসঅ্যাপ।
অভিযোগপত্রে হোয়াটসঅ্যাপ উল্লেখ করেছে, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন ডিজিটাল আইনটি হাইকোর্টের অবৈধ ঘোষণা করা উচিত। কারণ তারা চাইলে কোনো মেসেজ আগে কে পাঠিয়েছেন সেটি জানতে পারবেন। এর ফলে ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা লঙ্ঘন হবে।
তবে মঙ্গলবার ফেসবুক জানায়, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন আইনটি মেনে নেবে। ইতোমধ্যে ব্যবহারকারীর তথ্য শেয়ারের প্রক্রিয়া শুরু করেছে তারা। প্রশ্ন উঠেছে, ফেসবুক মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ কেন দিল্লী হাইকোর্টে মামলা করল?
এক বিবৃতিতে এ প্রশ্নের জবাব দিয়েছে ফেসবুক মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি। তারা বলেছে, ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের নতুন ডিজিটাল আইনে ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে না।
উল্লেখ্য, ভারতে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারকারীর সংখ্যা ৪০ কোটি। ব্যবহারকারীর গোপনীয়তা কীভাবে রক্ষা করা যায় সে বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটি প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করেছেন। একই সঙ্গে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গেও এ বিষয়ে আলোচনা চলছে বলে বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়।