গত ৪৮ ঘণ্টায় বরিশাল বিভাগের জেলা-উপজেলার হাসপাতালগুলোতে রেকর্ড সংখ্যক এক হাজার ৬৯৩ ব্যক্তির নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এতে ১২২ জনের দেহে করোনার সংক্রমণ পাওয়া গেছে। একই সময়ে বরিশাল নগরী, বরগুনা ও ঝালকাঠিতে একজন করে মারা গেছেন। পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কর্মরত এক হাজার চারজন ব্যক্তি নমুনা পরীক্ষা করার ফলে হার বেড়েছে বলে জানিয়েছেন বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, বিভাগে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৫ হাজার ৩৬২ জন ও আক্রান্তের হার শতকরা ১৪.৯২ ভাগ। মঙ্গলবার পর্যন্ত মারা গেছেন ২৮২ জন। মৃত্যু হার শতকরা ১.৮৪ ভাগ। করোনার হটস্পট বরিশাল নগরীতেই মারা গেছেন ৬৬ জন। নগরীতে মোট আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার ব্যক্তি। চলতি মাসে বিভাগে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৪৩ জন ও মৃত্যু হয়েছে ১৭ জনের।
বরগুনা সদরের আজগরকাঠী এলাকার ৪০ বছর বয়সী এক নারী শেবাচিম হাসপাতালে ২১ দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা যাওয়ায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ২৬ জনে। এই জেলায় মোট আক্রান্ত এক হাজার ২৫১ জন। মৃত্যুহার বিভাগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ শতকরা ২.০৮ ভাগ। সোমবার ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলার বাসিন্দা ৭৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তি শেবাচিমে ১১ দিন চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় মারা গেছেন। ফলে এ জেলায় ২৭ জনের মৃত্যু হলো। ঝালকাঠিতে মৃত্যুর হার শতকরা ২.০৩ ভাগ। মোট আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ৩২৮ জন।