Image default
বাংলাদেশ

জোয়ারের পানিতে ভেসে এলো সুন্দরবনের ৩টি মৃত হরিণ

সুন্দরবন থেকে জোয়ারের পানিতে ভেসে এলো তিন মৃত হরিণ। গতকাল সুন্দরবনের কচিখালী অভয়ারণ্য, দুবলার চর ও বলেশ্বর নদী সংলগ্ন রাজেশ্বর গ্রাম থেকে হরিণ তিনটি উদ্ধার করেন বন বিভাগ। ধারণা করা হচ্ছে- ইয়াসের প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসের ফলে পানিতে ডুবে হরিণগুলো মারা যেতে পারে।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক (এসিএফ) মো. জয়নাল আবেদিন জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাব ও পূর্ণিমা তিথির জোয়ারের কারণে বনে স্বাভাবিকের চেয়ে ৬ থেকে ৭ ফুট পানি বৃদ্ধি পায়।

সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সহকারী বন সংরক্ষক জয়নাল আবেদিন গণমাধ্যমকে জানান, উদ্ধার হওয়া মৃত তিনটি হরিণই নারী। এর মধ্যে বলেশ্বর নদ থেকে উদ্ধার হওয়া একটি হরিণের পেটে বাচ্চা ছিল। এ হরিণকে বুধবার সন্ধ্যায় শরণখোলা রেঞ্জ অফিস চত্বরে মাটিচাপা দেওয়া হয়েছে। সুন্দরবনের হরিণ একটু চঞ্চল প্রকৃতির উল্লেখ করে তিনি বলেন, এরা সাঁতার দিয়ে বড় নদীও পার হয়ে যেতে পারে। বনের মাঝে এটি হরিণের স্বাভাবিক বিষয়। তবে উঁচু জোয়ার ও বাতাসের মাঝে আশ্রয়ের উদ্দেশ্যে ছোটার সময় পানির তোড়ে হয়তো হরিণগুলো ভেসে গিয়ে থাকতে পারে। নদীতে পড়ে গিয়ে স্রোতের কারণে আর উঠতে না পারায় হয়তো মৃত্যু হয়েছে।

সুন্দরবনের দুবলা জেলে পল্লীর প্রশাসনিক কর্মকর্তা তানভীর হাসান ইমরান গণমাধ্যমকে জানান, ইয়াসের প্রভাবে উঁচু জোয়ারে বনের মধ্যে অসহায় অবস্থায় পড়েছে বন্যপ্রাণীরা। তুলনামূলক উঁচুস্থানে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে বন্যপ্রাণীদের।

মঙ্গলবার রাতে জোয়ারের সময় বঙ্গোপসাগর–সংলগ্ন সুন্দবনের দুবলা জেলে টহল ফাঁড়ির ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নেয় কিছু হরিণ। বুধবার দুপুরে জোয়ারের সময়ও ফাঁড়ির পুকুরের পাড়ে কিছু হরিণ ও এর বাচ্চাদের আশ্রয় নিতে দেখা গেছে।

Related posts

দিনাজপুরে ওঠানামা করছে নদ-নদীর পানি

News Desk

খায়রুজ্জামানকে হস্তান্তরে স্থগিতাদেশ মালয়েশিয়ার হাইকোর্টের

News Desk

গৃহস্থালির কাজে ব্যবহৃত পণ্যে করছাড়

News Desk

Leave a Comment