Image default
খেলা

শুরুতেই ২ উইকেট হারিয়ে বিপদে বাংলাদেশ

শুরুতেই বিপদে বাংলাদেশ দল। স্কোর বোর্ডে ৯ রান জমা হতেই সাজঘরে ফেরেন ওপেনার নাঈম শেখ ও সাকিব আল হাসান। শ্রীলংকাকে হোয়াইটওয়াশ করার লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপাকে টাইগাররা।

ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলেই সাজঘরে ফেরেন তরুণ ওপেনার নাঈম শেখ। ২৮৭ রানের চ্যালেঞ্জিং স্কোর তাড়া করতে নেমে দলীয় ২ রানে আউট হন নাঈম।

প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে তিন দফায় জীবন পেয়ে ১২০ রানে গিয়ে থামলেন লঙ্কান অধিনায়ক কুশল পেরেরা। আর মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান ধনাঞ্জয়ার অনবদ্য হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে বাংলাদেশকে বড় টার্গেট দিল শ্রীলংকা। নির্ধারিত ৫০ ওভার খেলে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৮৬ রান করেছে শ্রীলংকা।

অর্থাৎ জয় পেতে ৫.৭২ রানরেটে ২৮৭ করতে হবে বাংলাদেশকে। পরে ব্যাট করে এই টার্গেট চ্যালেঞ্জিংই বটে। এতো বড় টার্গেটের জন্য অবশ্য বাংলাদেশের ফিল্ডাররা অনেকাংশে দায়ী। ক্যাচ মিসের মহড়া হয়েছে আজ। ক্যাচ মিস করেছেন মাহমুদউল্লাহ। গ্লাভসবন্দী করতে পারেননি মুশফিকও।

অন্ততপক্ষে ৫টি ক্যাচ মিস হয়েছে। তিন বার লাইফ পেয়েছেন লংকান অধিনায়কই। বাংলাদেশের বিপক্ষে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে দুর্দান্ত ব্যাট কবেছে শ্রীলংকা। সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন অধিনায়ক কুশল পেরেরা। প্রথম পাওয়ার প্লেতে শ্রীলংকার ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে অসহায় ছিল মিরাজ, শরিফুলরা।

বাংলাদেশি বোলারদের বেদম পিটুনি দিয়ে ১১ ওভারে ৭৯ রান জমা করে ফেলে শ্রীলংকা। তবে এদের মধ্যে দুর্দান্ত বল করেছেন পেসার তাসকিন। প্রথম ব্রেক থ্রু তিনিই এনে দিয়েছেন। ৬ উইকেটের ৪টিই নিয়েছেন তিনি। ৯ ওভারে দিয়েছেন ৪৬ রান।

শ্রীলংকান ওপেনারদের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে যখন অসহায় মিরাজ, শরিফুলরা তখন ত্রাতা হয়ে আবির্ভূত হন তাসকিন। নিজের দ্বিতীয় ওভারে জোড়া আঘাত হানেন লংকান শিবিরে। ওভারের দ্বিতীয় ও চতুর্থ বলে ফিরিয়ে দেন গুনাথিলাকা ও পাথুম নিশাঙ্কাকে।

সরাসরি বোল্ড করে দেন ৩৯ রানে দুর্দান্ত ব্যাট করে যাওয়া গুনাথিলাকাকে। ৬৮ বল স্থায়ী ৮২ রানের প্রথম জুটি ভাঙেন তাসকিন। এক বল পরেই নিশাঙ্কাকে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে বন্দি করেন। রানের খাতাই খুলতে পারেননি নিশাঙ্কা।

আর নিশাঙ্কাকে ফিরিয়ে ওয়ানডে ফরম্যাটে নিজের হাফসেঞ্চুরি পূরণ করলেন এ তরুণ পেসার। অবশ্যই তা উইকেট সংখ্যায়। নিশাঙ্কাকে শূন্য রানে ফিরিয়ে ওয়ানডেতে ৫০ উইকেট শিকার উদযাপন করলেন তাসকিন।

৩৯ ইনিংসে উইকেটের ফিফটি হলো তাসকিনের। এই সংস্করণে বাংলাদেশের হয়ে তার চেয়ে কম ইনিংসে ৫০ উইকেট পেয়েছেন কেবল মোস্তাফিজুর রহমান (২৭) ও আব্দুর রাজ্জাক।

তৃতীয় আঘাতও হানেন তাসকিন। আউট করলেন কুশল মেন্ডিসকে। ভাঙলেন ৬৯ রানের জুটি। তাসকিনের তৃতীয় আঘাতটি আসে ২৬তম ওভারের দ্বিতীয় বলে।

অফ স্ট্যাম্পের বাইরে তার বুদ্ধিদীপ্ত শর্ট অব লেংথ স্লোয়ারে উঁচিয়ে সীমানার বাইরে পাঠানোর চেষ্টা করেন কুশল মেন্ডিস। কিন্তু বল তার ব্যাটের কানায় লেগে যায় মিড অফে। অধিনায়ক তামিম ইকবালের হাতে ধরা পড়ে সহজেই।

৩৬ বলে ১ ছক্কায় ২২ রান করে সাজঘরে ফেরেন কুশল মেন্ডিস। দুর্দান্ত খেলে নার্ভাস নাইনটিতে ভুগছিলেন লংকান অধিনায়ক কুশল পেরেরা। ৯৯ রানে নিশ্চিত আউট হচ্ছিলেন।

বেঁচে গেলেন ফিল্ডার রিয়াদের বদান্যতায়। ক্যাচ নিতে না পারায় উইকেট বঞ্চিত হলেন মোস্তাফিজ। ৩২তম ওভারে মোস্তাফিজের পঞ্চম বলটি ভালোভাবে খেলতে পারেননি পেরেরা। এজ হয়ে তা চলে যায় মিড অফে। একটু দৌড়ে এসে ঝাঁপিয়ে বলটি তালুবন্দির চেষ্টা করেন রিয়াদ। কিন্তু পেরে ওঠেননি।

তবে পরের বার পেরেরার ক্যাচ মিস হয়নি মাহমুদউল্লাহর। সেঞ্চুরিয়ান কুশল পেরেরাকে আউট করেন পেসার শরিফুল। লঙ্কান অধিনায়ককে ১২০ রানে থামালেন তিনি।

শরিফুলের লেংথ বল উড়িয়ে মারতে গিয়ে টাইমিং ঠিকমতো করতে পারেননি পেরেরা। মিড অফ থেকে পেছনে দিকে বেশ খানিকটা দৌড়ে দুর্দান্ত ডাইভে দুই হাতে বল তালুবন্দী করেন মাহমুদউল্লাহ। ১২২ বলে ১২০ রান করে আউট হলেন পেরেরা। ধনাঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে তার জুটি শেষ হয় ৬৫ রানে।

পেরেরার পর সাকিবের ৪৩তম ওভারে রান আউট হন নিরোশান ডিকভেলা। দলে ফেরা খুব একটা সুখকর হলো না তার। ঝুঁকিপূর্ণ রান নেওয়ার চেষ্টায় শরিফুল ইসলামের সরাসরি থ্রোয়ে রান আউট হয়ে গেলেন এই ব্যাটসম্যান।

এর পর তাসকিনের চতুর্থ শিকারে পরিণত হন হাসারাঙ্গা। বাউন্ডারিতে মিরাজের হাতে ধরা পড়ার আগে ২১ বলে ১৮ রান করেন এই হার্ডহিটার। এরপর বাকি সময়টা আর উইকেট পড়েনি। হাফসেঞ্চুরি পূরণ করেন ধনাঞ্জয়া। ৭০ বলে ৫৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।

Related posts

আইপিই মিজুহারা $ 200,000 এর মূল্য স্থানান্তর করার প্রয়াসের সময় শোহেই ওহতানি হিসাবে প্রদর্শিত হয়েছিল

News Desk

আফগানিস্তাকে হারিয়ে দ্বিতীয় পর্ব শুরু শ্রীলঙ্কার 

News Desk

ভিজিয়ে দাও! সেন্ট জন কেন গ্রেট ইস্ট শিরোপা জিতলে নেট কমিয়ে দেবে

News Desk

Leave a Comment