আগামী মাসে জেনেভায় দেখা হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের। আর এ দেখা হলে মানবাধিকার বিষয়ে পুতিনকে চাপ দেবেন বলে আগেই জানিয়ে রাখলেন জো বাইডেন।
এমন এক সময়ে এ দুজনের দেখা হতে যাচ্ছে যখন নানা বিষয়ে দু’দেশের মধ্যে এমন এক পরিবেশ বিরাজ করছে যা গত কয়েকবছরে দেখা যায়নি। যুক্তরাষ্ট্র আশা করেছিল যে, রাশিয়ার সাথে এমন একটি সম্পর্ক থাকবে যেখানে দু’পক্ষই একে অপরকে বুঝবে এবং নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে একসাথে কাজ করবে। তবে সেখান থেকে এখন পিছু হটছে ওয়াশিংটন।
জেনেভায় মূলত ১৬ জুন দেখা হতে পারে বাইডেন ও পুতিনের। ওইদিনটির দিকে ইঙ্গিত করে বাইডেন বলছেন, কয়েক সপ্তাহের মধ্যে জেনেভায় আমার সাথে প্রেসিডেন্ট পুতিনের দেখা হবে। সেখানে আমরা চুপ থাকবো না এবং তাকে মানবাধিকার লঙ্ঘন করে যেতে দিতে পারি না।
মেমোরিয়াল ডে সামনে রেখে এক অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন বাইডেন। অনুষ্ঠানে ছয় বছর আগে ক্যান্সারে মারা যাওয়া নিজের ছেলে ব্যু বাইডেনের কথাও তোলেন জো।
যুক্তরাষ্ট্রের ২০২০ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে হস্তক্ষেপ এবং সোলার উইন্ড সাইবার অ্যাটাকের রুশ সংযোগের অভিযোগে ক্ষমতায় বসার পর থেকে রাশিয়ার ওপর বেশি কিছু নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন বাইডেন।
এ ছাড়া পুতিনবিরোধীতায় সরব অ্যালেক্সি নাভানলিকে বিষ প্রয়োগে হত্যা চেষ্টা ও পরবর্তীতে তাকেই আবার কারাগারে আটকের ঘটনাতেও শক্ত প্রতিবাদ করেছে ওয়াশিংটন।
এ ছাড়া ইউক্রেন ইস্যুতেও রাশিয়ার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের এখন সম্পর্কে উত্তেজনা চলছে। ইউক্রেনের বড় একটা অংশ ইতোমধ্যে নিয়ন্ত্রণ করছে রাশিয়া। এর উপর আবার সম্প্রতি সীমান্তে শক্তি প্রদর্শন করেছে দেশটি।
আবার রাশিয়া-প্রভাবিত বেলারুশও একটা ইস্যু হয়ে আছে। গেল সপ্তাহে প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার লুকাশেঙ্কোর বিরোধী একজন ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিককে গ্রেফতার করতে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের যাত্রাপথ পরিবর্তন করতে বাধ্য করে বেলারুশ। এ নিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখ পড়তে হয়ছে দেশটিকে। এ ঘটনাকে বিমান ছিনতাই বলেও আখ্যা দেওয়া হচ্ছে।