দীর্ঘদিন ক্রিকেটের বাইরে আছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। প্রস্তুতিতে ঘাটতি থাকায় আজ থেকে শুরু হওয়া ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে খেলা হচ্ছে না তার। টুর্নামেন্টের প্রথম পর্বে তিনি মাঠে ফিরবেন না সেটি আগেই জানিয়েছেন। দলের অভিজ্ঞ ও গুরুত্বপূর্ণ এই ক্রিকেটারকে ছাড়াই আজ মিপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতির মুখোমুখি হয়েছিল শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। মাশরাফি না থাকলেও ২২ রানের জয় তুল নিয়েছে তার দল।
ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১৬৬ রানের সংগ্রহ পায় শেখ জামাল। উদ্বোধনী জুটিতে ভালো শুরু এনে দেন দুই ওপেনার সৈকত আলী ও মোহাম্মদ আশফুল। ওপেনিং পার্টনারশিপে ৭৩ রান যোগ করেন দুজন। তবে ৮ রানের ব্যবধানে দুজনেই আউট হন সমান ৩৮ রান করে। মাঝে রানের খাতা না খুলেই বিদায় নেন নাসির হোসেন।
আশরাফুলের মতো রান আউটে কাটা পরে ফিরে যান অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহান। আউট হওয়ার আগে সোহানের ব্যাট থেকে আসে ২২ রান। পরে তানবীর হায়দারের ১৭ রানের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের ১৫ ও দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান সোহরাওয়ার্দী শুভর ৮ বলে ১২ এবং মোহাম্মদ এনামুলের ৫ বলে ২০ রানের ঝড়ো ইনিংসের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে স্কোর বোর্ডে ১৬৬ রানের সংগ্রহ পায় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।
বল হাতে খেলাঘরের হয়ে পেসার খালেদ আহমেদ ২০ রানে নেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন মাসুম ও রিশাদ। বিবর্ণ ছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ ও ইরফান।
১৬৭ রানের জবাব দিতে নেমে খেলাঘরের দুই ওপেনার ইমতিয়াজ হোসেন ও সাদিকুর রহমান ভালো শুরু পান। ৩৪ বলের স্থায়ী জুটিতে তুলে ফেলেন ৪৪ রান। কিন্তু ২ রানের ব্যবধানে ২ ওপেনার সহ তিন নম্বরে নামা জহরুল ইসলামও ফিরে গেলে বিপর্যয় নামে খেলাঘর ইনিংসে। পরে পেসার সালাউদ্দিন শাকিল খেলাঘরের ইনিংসে ভাঙন ধরান। দলটির ১৪ রানে থাকা মিরাজকে পয়েন্টে তালুবন্দি করানোর পর ২২ রানে ব্যাট করা মাসুম খানকেও আউট করেন। পরবর্তীতে আর পেরে ওঠেনি খেলাঘর।
৩০ রানের জুটিতে সালমান হোসেন ও মাসুম খান কেবল হারের ব্যবধানই কমাতে পেরেছেন। ১৮ বলে ২১ রান আসে সালমানের ব্যাট থেকে, মাসুম খান করেন ১২ বলে ২২ রান। শেষমেশ খেলাঘরের ইনিংস থেমে যায় ৮ উইকেটে ১৪৪ রানে। এতে ২২ রানে জয় তুলে নিয়ে মাঠ ছাড়ে শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।